মেট্রো রেল-সহ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করে তিনি সেখান থেকে মেট্রোতে চেপেই বিমানবন্দর যাবেন। সেখান থেকে ফের যশোর রোড স্টেশনে ফেরত আসবেন। দমদম সেন্ট্রাল জেল ময়দানে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর যোগ দেওয়ার কথা বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ। সেখানে বিজেপির ‘পরিবর্তন সংকল্প যাত্রা’-য় বক্তব্য রাখবেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘৩০ নয় ১৫ দিন করুন’, সংবিধান বিল সমর্থনে অমিত শাহকে ‘ওপেন চ্যালেঞ্জ’ অভিষেকের! কী শর্ত দিলেন?
advertisement
অপারেশন সিঁদুরের পরেই বঙ্গে এসেছিলেন মোদি। উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে সভা করেন তিনি। সেখান থেকে শাসক দলের একাধিক দুর্নীতিকে সামনে রেখে ক্ষোভ উগরে দেন মোদি। কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে একাধিক দুর্নীতিকে সামনে রেখে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলায় এমন সরকার দরকার যার হাত ধরে উন্নয়ন আসবে। বাংলাকে উন্নয়নের সরণিতে নিয়ে যাওয়া বিজেপির লক্ষ্য। বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকারের হাত ধরে বাংলার সামগ্রিক আসবে। আরজি করের ঘটনা নিয়ে দুর্গাপুরে সভা থেকে তিনি নারী সুরক্ষা নিয়ে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, রাজ্যের হাসপাতালগুলি মেয়েদের জন্য নিরাপদ নয়। সেই সঙ্গে কসবার আইন কলেজে হওয়া গণধর্ষণের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: অনলাইন বা দূরশিক্ষায় ৫ বিষয় কোনওভাবেই পড়ানো যাবে না, ইউজিসির বড় নির্দেশিকা! ছাত্রছাত্রীরা জানুন
সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি কলকাতায় মাত্র আড়াই ঘণ্টা অবস্থান করবেন, যার মধ্যে প্রায় ৪৫ মিনিট তিনি বিজেপির রাজনৈতিক সভায় থাকবেন। তবে ২৬ নির্বাচনের আগে আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উত্তর-দক্ষিণ কলকাতা, কলকাতা সংলগ্ন-সহ একাধিক জেলার কর্মী সমর্থকদের কী বার্তা দেন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল। এর আগে তাঁর আলিপুরদুয়ার ও দুর্গাপুরের সভা থেকে তিনি রাজ্যের শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন। এবারও রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে নিশানা করে তিনি কী বার্তা দেন, সেদিকেই সবার নজর থাকবে। তবে স্থানীয় পরিস্থিতি অনুযায়ী তার সফরসূচিতে কিছু পরিবর্তনও হতে পারে।
সুস্মিতা মণ্ডল