প্রতিবছরই এই দফতর থেকে একশো দিনের গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পকে সামনে রেখে সেচের জন্য পুকুর খনন করে। সেটাকেই রিচার্জিং সেন্টারের হাতিয়ার করতে চায় রাজ্য। দফতরের আধিকারিকদের কথায়, কলকাতার রিচার্জিং জোন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে কল্যাণী। অর্থাৎ কলকাতার ভূগর্ভের জল সংরক্ষণ করতে কল্যাণীতে পুকুর কাটতে হবে।সম্প্রতি এই বিষয় নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।
advertisement
মঙ্গলবারও এক প্রস্থ বৈঠক হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। মূলত ভূগর্ভস্থ জলস্তর সংরক্ষণ করতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিদের সহযোগিতা করতে হবে-তেমনটাই বার্তা জেলাশাসকদের দেওয়া হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। রাজ্যের জনসম্পদ দফতরের তরফে ইতিমধ্যেই ১০০ দিনের গ্রামীণ প্রকল্পের অধীনে পুকুর খননের কাজ রয়েছে। কিন্তু এ বার পুকুর খননের কাজ করতে গেলে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে যে নির্দেশ এসেছে, সেই নির্দেশ মেনে চলতে হবে বলেও এদিনের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহল। মূলত ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পে এই পুকুর খননের কাজ করা হয় রাজ্যে। মনে করা হচ্ছে এই দিনের এই নির্দেশিকার মাধ্যমে জেলাশাসকদের স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হল ভূগর্ভস্থ জলস্তর সংরক্ষণ করতে কেন্দ্রের এই পরামর্শ মানতেই হবে।