সেই অনুযায়ী এর নাম হল ‘বাংলার বাড়ি’(গ্রামীণ )। এই আবাস যোজনার প্রাপকদের তালিকায় না থাকা নিয়ে বিভিন্ন জেলাতে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তাই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর প্রাপকদের যাতে এলাকায় থ্রেট কালচারের সম্মুখীন হতে না হয় সেজন্য সতর্ক নবান্ন।
জেলাশাসকদের রাজ্য পঞ্চায়েত সচিব পি উল্গানাথন জানিয়ে দিলেন, আবাসে না থাকার জন্য কেউ উপভোক্তা বা প্রাপককে ভয় দেখাচ্ছে খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশকে জানান। কেউ এই জন্য প্ররোচনা দিয়ে থাকলেও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ কড়া ব্যবস্থা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
advertisement
শুধু তাই নয়, আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার বা যে কোন দিনই নির্বাচিত উপভোক্তাদের আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা পাঠাতে চলেছে রাজ্য। তার জন্য প্রস্তুতিও নিয়ে নিতে বলেছে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের। দেওয়া হয়েছে আট দফা গাইডলাইন। গাইড লাইনে বলা হয়েছে-
১) গ্রামীণ আবাস যোজনার জন্য আজ শনিবার রাতেই জেলাগুলিকে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে। এখনই বিডিও স্তরে সেই টাকা বরাদ্দ করতে হবে।
২) কোনওভাবেই উপভোক্তাদের কাছে যেন ভুল বার্তা না যায়। একটি ব্লক বা গ্রাম পঞ্চায়েতেকে বিলি করতে গিয়ে অন্য গ্রাম পঞ্চায়েতে তা যেন না যায় সেদিকে নজর রাখতে হবে। বিডিওদের একটা বিল তৈরি করতে হবে।
৩) বাংলার বাড়ির উপভোক্তাদের তালিকার সঙ্গে অসহায় মহিলাদের বাড়ি দেওয়ার প্রকল্পের তালিকার যেন কোনওভাবেই মিশে না যায়। বিডিওদের এটা পরীক্ষা করে দেখে নিতে হবে। যদি পাওয়া যায় তবে পোর্টালে তা বাতিল করতে হবে।
৪) শীঘ্রই প্রচার শুরু হবে। প্রচারে কি থাকবে তা শীঘ্রই পাঠানো হচ্ছে। যা ছাপিয়ে বিলি করতে হবে। পোস্টার করতে হবে। জেলা তথ্য দপ্তর প্রচার করবে।
৫) উপভোক্তাদের অভিন্ন নম্বর শীঘ্রই পোর্টালে তোলা হচ্ছে। তারপরই নির্বাচিত উপভোক্তাদের কাছে এসএমএস পৌঁছে যাবে। এই মুহূর্তে উপভোক্তাদের শিবিরে ডাকার প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র সচেতনতামূলক প্রচার করতে হবে।
৬) কেন্দ্রীয়ভাবে কর্মসূচি পালন হবে। সেটা শীঘ্রই জানানো হবে। সেজন্য প্রতিটি জেলা থেকে ২ জন উপভোক্তাকে তৈরি রাখবেন। তাঁর সর্ম্পকে বিস্তারিত তথ্য পঞ্চায়েত দপ্তরে জানিয়ে দিন। নির্দিষ্ট দিনে সময় মতো তাঁরা যাতে কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন তার ব্যবস্থা করে রাখুন।
৭ ) পুলিশকে জানিয়ে রাখবেন কোনও নির্বাচিত উপভোক্তাকে কেউ ভয় দেখালে, হুমকি দিলে বা প্ররোচিত করলে সঙ্গে সঙ্গে যেন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
৮) যে কোনও পর্যায়ে কোনও নির্বাচিত উপভোক্তা সম্পর্কে জানতে পারেন যে তিনি এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার উপযুক্ত নয়, তাহলে তালিকা থেকে সরাসরি নাম বাদ দিয়ে দিন।
৯) প্রতি ব্লকে একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে গোটা প্রক্রিয়াকে নিশ্চিন্তে রূপায়ণের জন্য নিয়োগ করতে বলা হয়েছে। ১১ লক্ষেরও বেশি উপভোক্তাদের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হবে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়