নবান্নের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই হড়পা বানের কারণে ৮ জনের মৃত্যু হয় এবং ১৪ জন আহত হন। ১৪ জনের মধ্যে ৮ জন ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন, বাকিরা মাল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি।
advertisement
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে মাল নদী ও তার শাখাপ্রশাখার catchment area সিকিম, ভুটান ও দার্জিলিং মিলিয়ে একটি বিস্তীর্ণ এলাকা। ওইদিন উত্তরবঙ্গে কোনও অস্বাভাবিক বৃষ্টি হয়নি। সম্ভবত রাজ্যের বাইরে মালনদীর ক্যাচমেন্ট এরিয়াতে বৃষ্টি হয়েছিল কিংবা কোনও cloud burst-এর কারণে এই জলোচ্ছ্বাস এসেছিল কিনা সেই সঠিক কারণটি নির্ণয় করার প্রক্রিয়া গুরুত্ব দিয়ে শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নবান্ন। ফলে এই জলোচ্ছ্বাসের কোনও আগাম খবর পাওয়া সম্ভব ছিল না বলেও এই বিবৃতিতে দাবি করা হয়।
বিবৃতিতে এও বলা হয়, "দুর্ভাগ্যবশত, কোনও বিশেষ অভিসন্ধি নিয়ে কিছু শ্রেণীর মানুষ একটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে কেন্দ্র করে স্থানীয় প্রশাসনকে ও জনপ্রতিনিধিদের যে ভাবে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে তা নিন্দনীয়। মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যে প্রশাসনের যথেষ্ট ব্যবস্থা ছিল না, স্থানীয়ভাবে জল ছাড়া হয়েছে এবং তৎপর থাকলে বিপর্যয় এড়ানো যেত। এগুলি সঠিক নয়।
কিন্তু আদতে 'প্রশাসনের তরফে যথেষ্ট যত্নসহকারে পাকাপোক্তভাবে বিসর্জনের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। স্থানীয় মাল প্রশাসন, পুলিশ, মাল পুরসভার প্রচেষ্টায় জীবনহানি অনেকাংশে কম করা গিয়েছে এবং আনুমানিক ৪৫০ জন মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।'
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে স্থানীয় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী, আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী, শিলিগুড়ি কর্পোরেশনের মেয়র এবং চেয়ারম্যান, NBSTC ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সঙ্গে দেখা করেন, এলাকা পরিদর্শন করেন এবং উদ্ধার কার্যে তদারকি করেন। দুর্ঘটনার পরে এলাকার জনপ্রতিনিধি, মাল প্রশাসন ও পুলিশ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন। হড়পা বানে মৃতদের পরিবারকে এককালীন ২লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০হাজার টাকা স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে প্রদান করা হয়েছে। এই দুঃখজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে জলপাইগুড়ি জেলার পুজো কার্নিভাল স্থগিত রাখা হয় আজ।