নদীগুলির জলস্তর নিয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ জেলাশাসকদের। জেলাশাসকদের পাশাপাশি ডিভিসি-কেও সতর্ক করল রাজ্য। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়া নিয়ে জেলাশাসক ও বিভিন্ন দফতরের সচিবদের নিয়ে বৈঠকে মুখ্যসচিব নির্দেশ দেন, ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো নিয়ে যেন কোনও অভিযোগ না আসে। ত্রাণ সামগ্রী পাঠাতে যাতে কোনওরকম দেরি না হয়। ত্রাণ সামগ্রী বিভিন্ন জায়গায় মজুত রাখতে হবে।পর্যাপ্ত ওআরএস, অ্যান্টিভেনাম ওষুধের ব্যবস্থা রাখতে হবে। যেখানে যেখানে রাস্তা, কালভার্টের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে, সেই জায়গাগুলিতে দ্রুত মেরামতির ব্যবস্থা করতে হবে।
advertisement
জুন মাসেও জল ছাড়ে ডিভিসি। একদিকে বৃষ্টিতে ফুঁসছিল দ্বারকেশ্বর, গন্ধেশ্বরী, শিলাবতী, কংসাবতীর মতো নদীগুলো। তারউপর ডিভিসি জল ছাড়ায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয় রাজ্যের তিন জেলা— বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে। মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়। ফলে একাধিক নদীতে বেড়ে যায় জলস্তর, বহু সেতু জলের তলায় চলে যায়। জলে ডুবে যায় একাধিক রাজ্য সড়কও। নদীর জলে প্লাবিত হয় বাঁকুড়ার তালড্যাংরা ব্লকের একাধিক গ্রাম।