কেন এমন দাবি তিনি করলেন, সেই ব্যাখ্যাও দেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর কথায়, নবদ্বীপে তৃণমূলের আসন টলমল। গত লোকসভায় ভুয়ো ভোটার, রোহিঙ্গা, অনুপ্রবেশকারী নিয়ে ভোট পেয়েও মাত্র ৬ হাজারের ব্যবধান রয়েছে তৃণমূলের। এবার আসন হারার পথে তারা। তাই তৃণমূল চাইছে বিজেপির যুব নেতাদের, যারা দলের প্রধান হাতিয়ার, তাদের ভয় দেখিয়ে মাঠ ছাড়া করতে।
advertisement
আরও পড়ুনহঠাৎ শুভেন্দুর প্রশংসায় শমীক! ছাব্বিশের আগে বঙ্গ বিজেপি-তে নতুন সমীকরণ?
বিজেপি বিধায়কের চ্যালেঞ্জ, এসআইআর হওয়ার পর ২০ হাজার ভোটে হারবে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্যের নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বলেও ফের সরব হন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, প্রকাশ্যে খুন হয়ে যাচ্ছে, ৪ জনের নামে এফআইআর দায়ের হয়েছে, অথচ কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি এখনও। তাঁর স্পষ্ট দাবি, রাজনৈতিক রঙ এবং ধর্ম দেখে পুলিশ কাজ করে। তাই এই পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা নেই।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে সঞ্জয় ভৌমিক যখন বাড়ি ফিরছিলেন তখন এলাকায় বেশ কিছু যুবকের নিজেদের মধ্যে বচসা চলছিল। সঞ্জয় বারণ করায় তাঁর ওপর চড়াও হয় তারা। প্রাণ বাঁচাতে সঞ্জয় কোনও মতে নিজের বাড়িতে ঢুকে যান। পরিবারের অভিযোগ, রাতে তিনি যখন ঘুমোচ্ছিলেন সেই সময় স্থানীয় বেশ কয়েকজন তাঁদের বাড়িতে ঢুকে সঞ্জয়কে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। এরপর নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সঞ্জয়কে। সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় ওই যুবকরা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। রাজনৈতিক কারণেই তারা খুন করেছে সঞ্জয়কে।