এক সপ্তাহ আগেই রাজ্যপাল কে কড়া ভাষায় চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী সেই চিঠির উত্তর দিতে গিয়ে দুটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল। কার্যত রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাতের ছবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছিল। একের পর এক প্রসঙ্গ নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছিলেন রাজ্যপাল। কখনো রাজ্যে লকডাউন এর বিধি না মানা নিয়ে, কখনো রাজ্যে ১০০% সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স কার্যকরী করা না নিয়ে, আবার কখনো লকডাউন এর বিধি বা নিয়ম সফল করতে সরাসরি কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী মোতায়নের পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন রাজ্যপাল। যা নিয়ে রাজ্যের তরফেও কড়া মন্তব্য উঠে এসেছিল রাজ্যপালের প্রসঙ্গে। তবে শুধু এখানেই নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে এলে ও তাকে সহযোগিতা করা হচ্ছে না বলেও রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন রাজ্যপাল। শুক্রবার মে দিবস উপলক্ষে ভিডিও বার্তা রাতে নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে আপলোড করেন রাজ্যপাল। ভিডিও বার্তায় আবারো রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।
advertisement
একদিকে রেশন দুর্নীতি নিয়ে সুর চড়িয়েছেন রাজ্যপাল শুক্রবার এর ভিডিও বার্তায়। তার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন রাজ্যপাল। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন " এই সময়টা রাজনীতি করার সময় নয়। কেন্দ্র ও রাজ্যের একসঙ্গে চলার সময়। কেন আপনি বারবার রাজনীতির দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিষয় দেখছেন? কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এরাজ্যে এসেছে রাজ্যকে সহযোগিতা করার জন্যই। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসার পরেই রাজ্যের দৃষ্টিভঙ্গি খানিকটা বদলেছে। এই সময়টা তথ্য লুকানোর সময় নয়, সব তথ্য মানুষকে স্পষ্ট করে বলা উচিত।" একদিকে যেমন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার আহ্বান আর তখনই অন্যদিকে ভিডিওবার্তার মারফত মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়