শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে গোয়েন্দাদের সামনে আসে অয়ন শীলের যোগাযোগ প্রসঙ্গ৷ এই অয়ন শীলের চুঁচুড়া ও সল্টলেকের বাড়ি ও অফিসে হানা দিয়েই রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত নথি সামনে আসে বলে অভিযোগ ইডির৷ সূত্রের খবর, রাজ্যের ২০ পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি অভিযোগ উঠেছে৷
advertisement
এদিন বিভিন্ন পুরসভার অফিস তো বটেই, এমনকি, সল্টলেকের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর ভবনেও হানা দেয় সিবিআই। পাশাপাশি, অয়ন শীলের চুঁচুড়া ও সল্টলেকের বাড়িতেও হানা দেয় সিবিআইয়ের দল৷ সিবিআইয়ের একটি দল সকাল ১১টা নাগাদ চুঁচুড়ার জগুদাসপাড়ায় অয়নের ফ্ল্যাটে ঢোকে। সল্টলেকের ফ্ল্যাট তথা অফিসেও যান সিবিআই কর্তারা৷
মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অবশ্য গোটা বিষয়টিকেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত কাজ বলে দাবি করেছেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘যা হচ্ছে পুরোটাই রাজনীতির জন্য৷ রাজনৈতিক কারণেই এটা হচ্ছে৷ আমরাও বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি৷’’
গত ১৯ মার্চ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়ন শীলকে গ্রেফতার করেছিল তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেই সময়েই ইডির তরফে দাবি করা হয়, অয়নের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে রাজ্যের একাধিক পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট পাওয়া গিয়েছে। সূত্রের খবর, অয়নের সংস্থা ‘এবিএস ইনফ্রোজোন’ একাধিক পুরসভার নিয়োগ পরীক্ষার ওএমআর শিট পরীক্ষার দায়িত্বে ছিল। সেই সুযোগেই টাকার পরিবর্তে রাজ্যের একাধিক পুরসভায় বেআইনি ভাবে লোকজনকে চাকরি দিয়েছিল অয়ন৷
বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে উঠলে তিনি পুরসভায় এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। যদিও পুর দুর্নীতির মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ দেওয়ার এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলে রাজ্য৷ মামলা শীর্ষ আদালতেও যায়৷
পরে অবশ্য ঘটনাক্রম অন্যদিকে গড়ালে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে এই মামলা সরে যায়৷ মামলা আসে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। সেখানে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার জন্য আদালতে আবেদন জানায় রাজ্য৷ কিন্তু, রাজ্যের পুনর্বিবেচনার সেই আবেদন খারিজ করে পুর দুর্নীতি কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখেন তিনি। বুধবার সেই নিয়োগ কাণ্ডেই এই তল্লাশি৷