গ্রামাঞ্চলে সাধারণ মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে ব্যাপক ভোট দিল। সেই দল পুর অঞ্চলে কেন ভোট পেল না? তার ময়নাতদন্ত শুরু করে দল। এর প্রেক্ষিতেই চেয়ারম্যান। কোথাও ভাইস চেয়ারম্যান। কোথাও উভয়কেই সরানোর সিদ্ধান্ত শুরু হতে পারে আগামী সপ্তাহ থেকেই। এক্ষেত্রে, পারফরম্যান্সকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে – জনসংযোগ, নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার ক্ষমতা ও দলের অন্দরে তার ভূমিকা এই মাপকাঠিতেই বিচার হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বুধবার ভোরে শক্তি হারাল প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’! ভারী বর্ষণ ওড়িশায়, বৃষ্টি পশ্চিমবঙ্গেও
হাওড়ার পুর প্রশাসকের পদত্যাগের পরেই থেকে নাড়াচাড়া শুরু হয়েছে সর্বত্র। সূত্রের খবর, নিজে থেকেই ইস্তফা দিতে বলা হবে। না দিলে সরানো হবে। বর্তমান অবস্থায় এই নিয়ে কোনও হইচই না করে নীরবে সেরে ফেলতে চায় শীর্ষ নেতৃত্ব।
পুরসভা ভিত্তিক এলাকাগুলির বিশ্লেষণে বসলে দেখা যাবে, সব জায়গায় ফলাফল কিন্তু এক নয়। এই যেমন বিধাননগর, আসানসোল এবং শিলিগুড়ি সহ অধিকাংশ এলাকায় এগিয়ে আছে বিজেপি। আবার হাওড়া কিংবা কলকাতায় এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। শহর কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪৫টি ওয়ার্ডে লিড নিয়েছে বিজেপি। একটি ওয়ার্ডে আবার এগিয়ে রয়েছে সিপিএম।
আরও পড়ুন:শান্তি চুক্তিতে ইতি? ইজরায়েলি সেনাকে ফের গাজায় বড়সড় হামলা চালানোর নির্দেশ নেতানিয়াহুর
গত ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্যের ১২১টি পুরসভায় নির্বাচন হয়েছিল। ভোটের ফলাফল অনুযায়ী, নদিয়ার তাহেরপুর পুরসভা বাদ দিয়ে বাকি ১১৮ টি পুরসভাই যায় তৃণমূলের দখলে। একমাত্র তাহেরপুর পুরসভা ছিল সিপিএমের দখলে। ঝালদার দখল পরে নেয় তৃণমূল। সামনে বিধানসভা ভোট। তার আগে পুর ভোটে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে চায় শাসকদল।
