বাংলার বিধানসভা ভোটের ময়দানে দাঁড়িয়ে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘আসুন, খেলা হয়ে যাক।’’ তাঁর অন্যতম সেনাপতি অনুব্রত মণ্ডলের হুঙ্কার ছিল, ‘‘ভয়ঙ্কর খেলা হবে।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পাল্টা জানিয়েছিলেন, ‘‘আমরাও বলছি খেলা হবে। তোমাদের খেলা শেষ হয়ে গিয়েছে।’’ ‘খেলা হবে’-র বার্তা দিয়ে নবান্ন অভিযান করেছেন বাম ছাত্র-যুবরা। হুমকিতে, চ্যালেঞ্জে, গানে, প্যারোডিতে, পোস্টারে, সোশ্যাল মিডিয়ায় গত এক বছর ধরে বার বার ট্রেন্ডিং হয়েছে, খেলা হবে, খেলা হবে! সদেবাংশু জানিয়েছেন, "দেখতে দেখতে এক বছর! এই স্লোগান আমার কাছে সন্তানের মত। এই স্লোগান আমার কাছে আবেগ। রাস্তাঘাটে আজও কেউ দেখলে যখন "খেলা হবে" বলে সম্মোধন করেন, ভেতরে ভেতরে বড্ড আনন্দ পাই। সেই স্লোগান বা গানে বদল আসছে একটা লাইনে। পুরনো খেলা হবে গানে শোনা যেত পাশাপাশি মুকুল, শোভন, সব্যসাচীর নাম। দেবাংশু জানিয়েছেন, "এবার থেকে আর শোনা যাবে না এই তিনজনের নাম। কারণ মুকুল রায় তার রাজনৈতিক অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। সব্যসাচী তিনি তৃণমূলের টিকিটে ভোটে জিতে বিধাননগরের চেয়ারম্যান। আর শোভন বাবু ভিক্টোরিয়া নিয়ে ব্যস্ত। তাই খেলা হবে গানে এই ত্রয়ীর নাম থাকভহে না। তবে বাকি গানে কোনও বদল আসছে না।" ভারতবর্ষের এযাবৎকালের কোন স্লোগান নিয়ে এই পর্যায়ে পৌঁছেছে কিনা সন্দেহ আছে, বলে মনে করেন দেবাংশু।
advertisement
আরও পড়ুন: ২-৩ হাজার ভোটে জিতলেই অনেক, দলের প্রার্থীদের সতর্ক করলেন অরূপ
বিধানসভা ভোটের আগে 'খেলা হবে' স্লোগান দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এই স্লোগানটি জনপ্রিয় হয়েছিল গোটা বাংলায়। মমতা বন্দোপাধ্যায় সহ দলের শীর্ষ নেতাদের সভা হোক বা তৃণমূলের কর্মসূচী সবেতেই জুড়ে ছিল, "খেলা হবে"। প্রশাসনিক মহলেও " খেলা হবে" এখন পরিচিত। খেলা হবে দিবস পালন করছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: জানতেন না জেলার মন্ত্রীও, দুর্ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর মৃত্যুর খবর দেখেই নির্দেশ মমতার
মমতা বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন,''খেলা ছাড়া জীবন চলে না। খেলার মধ্যে দিয়ে ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সুস্বাস্থ্য গড়ে ওঠে। জাপানেও অলিম্পিক চলছে। খেলা হবে স্লোগানটা চিরস্থায়ী করা দরকার। বিভিন্ন খেলা ও কর্মসূচির মাধ্যমে খেলা হবে স্লোগানকে কার্যকরী করতে হবে। স্লোগানটা এতটাই জনপ্রিয়, যখন নির্বাচনের সময় গ্রামেগঞ্জে যেতাম, আমি নামতে না নামতেই চিৎকার শুরু হয়ে যেত- খেলা হবে।"