বিচারপতি ডাকেন তাঁকে বুধবার এজলাসে তাঁর সমস্যা জানতে। 'দাদুর জন্য বাড়ি হয়েছে? পড়াশোনা জন্য মাসে ৭০০০ টাকা পাচ্ছে সে?'
'বিচারপতির প্রশ্নের উত্তরে সমীর জানায় বাড়ি হলেও। তাঁর মায়ের কাছ থেকে এপ্রিল মাস থেকে সে কোনও টাকা পাচ্ছে না। এমন তথ্য জানার পরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, সমীরের সৎ মায়ের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেয়। ৩০ অগাস্ট পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে সৎমা পিঙ্কি রাণী টিংগুয়া(মাণ্ডি) কে আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশকুঁড়ার এক স্কুলের কর্মচারী ছিলেন সমীর টিঙ্গুয়ার বাবা। সমীরের মা মৃত্যু হলে বাবা ফের বিবাহ করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ৭২ জায়গায় জমি দেয়নি রাজ্য, বিএসএফ-এর কাছে চাঞ্চল্যকর আবেদন শুভেন্দুর!
পরবর্তীকালে সমীরের বাবারও মৃত্যু হয়। অনুকম্পাজনিত চাকরি পান সমীরের সৎ মা। ছেলের দেখভাল এবং পড়াশোনার জন্য ৭,০০০.০০ টাকা প্রতি মাসে দেবেন সৎ মা পিঙ্কি রাণী টিংগুয়া(মাণ্ডি) । এমনই প্রতিশ্রুতিতে চাকরি পান সৎ মা। সেই প্রতিশ্রুতি সঠিকভাবে পালন না হওয়ায় হাইকোর্টে আসেন সমীর দাদু ৭৭ বছরের দয়ানন্দ টিঙ্গুয়া। সমীর নাবালক হওয়ায় তার দাদু আদালতের দ্বারস্থ হয়। সেই মামলা বিচারাধীন ছিল।
আরও পড়ুন: তোলপাড় ফেলে দিল সিবিআই, SSC কাণ্ডে হানা উত্তরবঙ্গে! ঢুকল সুবীরেশের চেম্বারে
জেলা শিশু সুরক্ষা ও কল্যাণ অফিসার সারদা বিবিহাইকোর্টে হাজির হয়ে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং আদালতকে এও জানান। পিঙ্কি রাণী টিংগুয়া(মাণ্ডি) র সাথে যোগাযোগ করেও পাওয়া যাচ্ছে না।আপাতত নাবালক হওয়ায় সমীরের পড়াশোনা ও দেখভালের জন্য নজরদারি চালয়ে যাবে হাই কোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, "ভালো করে পড়ো। মানুষের মতন মানুষ হতে হবে। পড়া না করলে ডেকে পাঠাব, এখানে কড়া শিক্ষকরা আছে। তুমি ভালো ফুটবল খেলো শুনেছি।'
বিচারপতি সমীরের উদ্দেশ্যে মন্তব্য করেন, ''পুরো বিচারবিভাগ আছে তোমার পাশে। মানুষ হতেই হবে।" বিচারপতি এদিনের নির্দেশে আরও জানান, ১) সমীর টিঙ্গুয়াকে আর আসতে হবেনা আদালতে।২) সৎমা পিঙ্কি রাণী টিংগুয়া(মাণ্ডি) র বেতন বন্ধ থাকবে।৩) ৩০ অগাস্ট পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে সৎমা পিঙ্কি রাণী টিংগুয়া(মাণ্ডি) কে আদালতে হাজির করতে হবে।মামলার পরবর্তী শুনানি ৩০ অগাস্ট।