মধুছন্দা ভট্টাচার্য পেশায় শিক্ষিকা। জামাইষষ্ঠীতে বাঙালি খাবারের পাশাপাশি বাড়িতেই চাইনিজ বানিয়েছেন। বাঙালি খাবারেও ওপার বাঙলার স্বাদ। কীভাবে সম্ভব হল? তিনি বলেন, "আগে বাড়িতেই খাওয়া হতো। মাঝে দু'বার স্বাদ পরিবর্তনের জন্য চায়না টাউন বা অন্য কোনও রেস্তোরাঁয় যাওয়া হয়েছে। মাঝের দু'বছর সেরকম ভাবে কিছু হয়নি। এ বার বাড়িতেই রান্না হয়েছে। সেই তালিকায় 'আনকমন' পদই বেশি। মানে যেগুলো সচারাচর বাড়িতে হয় না। লকডাউনের সময় ইউটিউব দেখে বেশকিছু রান্না শিখেছিলাম। বিশেষ করে বাংলাদেশের ইউটিউব চ্যানেল ফলো করতাম। সেখান থেকে শিখেই এ বার মাটনের কালাভুনা আর চিকেন রেজালা বানিয়েছি লাঞ্চে। আর বিকেলে হাক্কা ছাও আর ম্যাঞ্চুরিয়ান বানিয়েছি। সবাইতো ভালোই বলল। আর আমার আত্মবিশ্বাসটাও বাড়ল। এ বার থেকে বাড়িতেই বানাবো।"
advertisement
আরও পড়ুন: পাখির চোখ পঞ্চায়েত ভোট, আজ ৩ দিনের সফরে উত্তরবঙ্গে মমতা, কোনদিকে থাকছে নজর?
সল্টলেকের বাসিন্দা শান্তনা দাসের বাড়িতে এ বারেই প্রথম জামাইষষ্ঠী। তিনি বলেন, "বাড়িতে বাঙালি খাবারই বানিয়েছি। কিন্তু একটু অন্য রকম ভাবে। মাটন ডাকবাংলো বানিয়েছি। সেটাও প্রথমবার। প্রথমে ভাবছিলাম কেমন হবে। কিন্তু পরে সবাই খেয়ে ভালোই বলেছে। আমারও ভালো লাগলো কিছু অন্য রকম করতে পেরে।"
তবে এসবের মধ্যে একটু সমস্যায় পড়েছেন বাড়ির কর্তারা। সমর দাস নামে এক ব্যাক্তি মানিকতলা বাজারে এসে কার্যত হিমসিম খাচ্ছেন। তিনি বলেন, "এ বারের ফর্দটা বেশ গোলমেলে। অনেককিছু তো আমিই বুঝতে পারছি না। কোথায় গেলে পাব তাও জানি না। যেমন কোকোনাট মিল্ক। প্রথমতো নারকেলের দুধ যে আলাদা করে বিক্রি হয় সেটাই প্রথম জানলাম। আবার সেই দুধ তো আবার দুধের দোকানে পাওয়া যায় না। এরপর রয়েছে ড্রাই রোজ। মানে শুকনো গোলাপ কোন রান্নায় লাগে জানি না। তবে ফুলের দোকানে এটা পাওয়া যাবে না বুঝতে পারছি। তিন নম্বরে আছে ফ্রেস ক্রিম। এই সব যোগাড় করতে বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।"
UJJAL ROY