আগে থেকেই স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছিল শম্পার পরিবার ৷ মৃতার দাদা পুলিশকে জানিয়েছিলেন, সম্পত্তির লোভেই খুন করা হয়েছে তাঁর বোনকে ৷ রাজারহাটে শম্পার যে তিন কাঠা জমি রয়েছে তার উপর লোভ ছিল শম্পার স্বামী ও শাশুড়ির ৷
গত শুক্রবার কৈখালির চিড়িয়ামোড়ে নিজের বাড়িতেই রহস্যজনকভাবে খুন হন নিউ টাউন থানার ওই মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার ৷ তাঁর স্বামীকে চেয়ারের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছিল পুলিশ ৷ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সিভিক ভলান্টিয়ার শম্পা দাসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা ৷
advertisement
আরও পড়ুন: মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার খুনে গ্রেফতার স্বামী, জেরায় স্বীকার খুনের কথ
ওইদিন তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরার জন্য ফোন করে তাঁকে ডেকেছিলেন স্বামী সুপ্রতিম ৷ বাড়িতে মাংস কিনে এনেছেন বলে শম্পাকে তাড়াতাড়ি ফেরার কথা বলেছিলেন তিনি ৷ কিন্তু আসল ঘটনা অন্য ৷ বাড়িতে আগে থেকেই ফিট করা ছিল ভাড়াটে খুনি ৷ শম্পা বাড়ি ঢুকতেই তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে খুনি ৷ শম্পাকে খুন করে, সুপ্রতিমকে চেয়ারে বেঁধে তাঁর শরীরে একাধিক ক্ষত করে দেয় খুনি ৷
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় কাজ করে বাড়ি ফেরেন শম্পা দাস। সেই সময় তাঁর স্বামী সুপ্রতিম ও শ্বাশুড়ি বাড়িতে ছিলেন। সাড়ে তিন বছরের ছেলে বাইরে ছিল। সাড়ে ন'টা নাগাদ বাড়িতে ঢুকে সিড়িতে রক্ত দেখে কাঁদতে শুরু করে ছেলে। প্রতিবেশীরা গিয়ে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন শম্পা, ঘরে চেয়ারে হাত পা বাঁধা, আহত অবস্থায় রয়েছেন সুপ্রতিম দাস। সে সময় সুপ্রতিম নিজেও জানিয়েছিলেন, দুষ্কৃতিদের বাধা দিতে গিয়েই জখম হয়েছেন তিনি ৷ যদিও প্রাথমিক তদন্তের পর থেকেই পুলিশের অনুমান ছিল, স্ত্রীকে খুন করে দুষ্কৃতী হামলা ও লুঠের অভিনয় করছেন শম্পার স্বামী সুপ্রতিম। দেহের আঘাতও নিজেই করেছেন তিনি অথবা ঘটনা সাজানোর অন্য কাউকে দিয়ে করিয়েছেন ৷ সুপ্রতিমকে জেরা করতে গিয়ে পুলিশের সন্দেহ আরও গাঢ় হয় ৷ তাঁর বয়ানে প্রথম থেকেই প্রচুর অসঙ্গতি ধরা পড়ে ৷