সূত্রের খবর, প্রায় দেড় কোটি ভুয়ো রেশন কার্ডের কথা জানতে পেরেছে খাদ্য দফতর। আর তার ফলে রাজ্য সরকারের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে বছরে প্রায় ১৮০০ কোটি টাকা। এই বিপুল অঙ্কের ভুয়ো কার্ডের কথা জানাতে পেরেই নড়েচড়ে বসেছিল খাদ্য দফতর। তার পরেই কার্ড ব্লক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে প্রতি মাসে খাদ্যশস্য খাতে সরকারের সাশ্রয় হচ্ছে ৯০ কোটি টাকারও বেশি। আগামী মার্চ মাসের মধ্যে সব ভুয়ো রেশন কার্ড ব্লক করা হলে সাশ্রয় আরও বেশি পরিমাণ হবে বলেই মনে করছেন খাদ্য দফতরের কর্তারা। তাঁদের মতে, সিদ্ধান্ত পুরোপুরি কার্যকর হলে মাসিক সাশ্রয়ের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ১৫০ কোটি টাকা।
advertisement
আরও পড়ুন- পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য বিড়ম্বনায় পড়েছে দল... বিস্ফোরক সৌগত রায়
ভুয়ো রেশন কার্ড ব্লক করা শুরু করল খাদ্য দফতর। খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, কার্ডগুলি ব্লক করা না হলে সরকারি ভর্তুকিতে সরবরাহ করা খাদ্যশস্যের একটা বড় অংশ বাইরে পাচার হয়ে যেত। জলে যেত সরকারের বিপুল অর্থ। তাই দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষপ করা শুরু করেছে তারা। কার্ডগুলিকে দফতরের পোর্টালে লাল রঙে চিহ্নিত করে ব্লক করা হয়েছে। সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওই কার্ড দেখিয়ে রেশন দোকান থেকে খাদ্য সংগ্রহ করা যাবে না।
রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘কার্ড নিষ্ক্রিয় করার এই পদ্ধতি হল ধারাবাহিক। বিভিন্ন ভাবে আমাদের দফতরের কর্মীরা যোগাযোগ রাখেন৷ নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকা এই কার্ড বাতিল করলে সাশ্রয় হবে দফতরের। আমরা সব দিক খতিয়ে দেখে তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’’ সূত্রের খবর মালদহ, মূর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগনা-সহ বেশ কয়েকটি জেলা থেকে এই কার্ড বাতিল করা হয়েছে। কার্ড যেমন বাতিল করা হয়েছে তেমনই কার্ড নতুন করে তৈরি করে দেওয়াও হয়েছে। প্রায় ৪০ লাখ নয়া রেশন কার্ড তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে রেশন কার্ড নিয়ে কড়া রাজ্যের খাদ্য দফতর।