মগরায় জিটি রোডের রেললাইনের ওপর তৈরি হচ্ছিল একটি উড়ালপুল ৷ রবিবার সকালে রেলের নির্মীয়মাণ উড়ালপুলের একাংশ হঠাৎই ভেঙে পড়ে ৷ প্রাথমিক খবর অনুযায়ী, আশঙ্কা করা হচ্ছে উড়ালপুলের নিচে আটকে রয়েছে একটি লরি ৷ তবে লরির মধ্যে লরি চালক ছিল না বলেই খবর পাওয়া গিয়েছে ৷ আপাতত, খোঁজ চলছে, উড়ালপুলের নিচে কেউ আটক রয়েছে কিনা ৷
advertisement
হুগলির মগরায় ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ উড়ালপুল। আজ সকাল সাড়ে নটা নাগাদ আচমকা জিটি রোডের ওপর ভেঙে পড়ে ওই উড়ালপুলের একটি গার্ডারের অংশ। মগরার জিটি রোড সংলগ্ন ওই এলাকা বেশ জমজমাট। পাশেই রয়েছে বাজার।
সকালে বাজারে হাজির হন বহু মানুষ। তবে কেউ হতাহত হননি। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে একটি ডাম্পার। একটি বাইকও সেসময় সেখানে দাঁড় করানো ছিল। বাইকটি গার্ডারের ভাঙা অংশের নীচে চাপা পড়ে। তবে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বাইক আরোহী।অভিযোগ, ওই এলাকায় নির্মাণ কাজ চললেও কোনওরকম গার্ডওয়াল ছিল না। ঘটনাস্থলে হাওড়া ও বর্ধমান যাচ্ছেন রেলের সেকশনাল ইঞ্জিনিয়ারদের দল।
চলতি বছরের মার্চ মাসে কলকাতার পাথুরিয়াঘাটায় ভেঙে পড়েছিল বিবেকানন্দ সেতুর একাংশ ৷ পোস্তা এলাকার কাছে উড়ালপুলের নীচের রাস্তায় মানুষ ও গাড়িগুলির উপর ভেঙে পড়েছিল নির্মীয়মান সেতুর একটি বড় অংশ ৷ এখনও পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় ২১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল৷ পড়ে অবশ্য মৃতের সংখ্যা বাড়ে ৷
বিবেকানন্দ সেতু ভেঙে নিহত ২১, ধ্বংসস্তূপে আটক বহু, উদ্ধারে তলব ৪০০ সেনা
স্থানীয় মানুষ জানান, এদিন ১২:৫৫ নাগাদ সেতুর ১০০-১৫০ মিটার লম্বা একটি প্ল্যাঙ্ক সশব্দে ভেঙে পড়ে ৷ ধ্বংসস্তূপের তলায় বহু মানুষ আটকে রয়েছেন বলে খবর ৷ উদ্ধার কাজের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ,দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী৷ স্থানীয় মানুষের সহায়তায় এখনও পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপ থেকে ৫০ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ৷ আহতদের শুশ্রুষার জন্য ঘটনাস্থলে রয়েছে ৩টি মেডিক্যাল টিম, ২টি অ্যাম্বুল্যান্স, সার্জেন ও নার্সিং স্টাফ ৷ উদ্ধারকাজের জন্য আনা হয়েছে গ্যাস কাটার ৷ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ধ্বংসস্তূপ সরাতে ব্যবহার করা হচ্ছে ৪ টি ক্রেন ৷ উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীও ৷