এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে এমনিতেই বেজায় বেকায়দায় পড়েছে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে মিঠুন চক্রবর্তীর দাবি, রীতিমতো শোরগোল ফেলেছে রাজ্য রাজনীতিতে। গত বিধানসভা ভোটের আগে দলে-দলে তৃণমূল নেতারা যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। কিন্তু ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই ফের উল্টো চিত্র দেখা যেতে শুরু করে বঙ্গ রাজনীতিতে। এবার দুর্নীতিতে তৃণমূল যখন বেকায়দায়, তখন ফের মিঠুনের দাবি ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: চলে গেলেন 'এক টাকার ডাক্তার', সুশোভনবাবুর জীবনের অজানা ৬ কাহিনি জানলে চমকে উঠবেন
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তারপর লোকসভা। বঙ্গ রাজনীতির ময়দানে গেরুয়া শিবিরে ফের কি সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যাবে মিঠুন চক্রবর্তীকে? গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যজুড়ে প্রচার করেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তবে ফলাফল ঘোষণার পর থেকে কার্যত আড়ালেই ছিলেন তিনি। সম্প্রতি কলকাতা সফরে এসে বিজেপির রাজ্য দফতরে প্রথমবারের জন্য এসে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি । তার পর ব্যস্ত ছিলেন সিনেমার শুটিংয়ে। ফের গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে রাজনৈতিক বৈঠককে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে। এবার তিনি যা দাবি করলেন, তাতে প্রবল আলোড়ন তৈরি হয়েছে।
যদিও মিঠুনের দাবির পর তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ''মিঠুন চক্রবর্তীর ডায়লগ বলা অভ্যাস। আমার মনে হয় উনি সিনেমার ডায়লগ দিয়েছেন। এর সঙ্গে বাস্তবের কোন মিল নেই। মিঠুন ফ্লপ সিনেমার বা এমএলএ ফাটাকেষ্টর ডায়লগ হয়ত দিচ্ছেন।''
আরও পড়ুন: এজেন্সির নাম করে টাকা লুঠ! বিস্ফোরক অভিযোগ মমতার, মনে পড়ছে ব্রিটিশ অত্যাচার
এদিন মিঠুন চক্রবর্তী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গেও বলেন, ''উনি আমাকে ভাই মানেন কি না জানি না, কিন্তু, আমি ওনাকে এখনও দিদি বলেই মনে করি। শ্রদ্ধা করি।'' সেই প্রসঙ্গেও কুণালের কটাক্ষ, ''ভাই-বোনের সম্পর্ককে উনি কলঙ্কিত করছেন। পিছন থেকে ছুরি মারলেন৷ যে দিদি রাজ্যসভায় পাঠালেন, তাঁকেই বছর ঘুরতেই সরাতে উদ্যোগী হলেন।''