চলতি মাসের ১৯ তারিখ এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হন বিশ্বনাথ রায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিষ্ণুপুর থানা এলাকার আমতলার বাসিন্দা তিনি। হার্নিয়া অপারেশন করাতে হাসপাতালে ভর্তি হন। অভিযোগ, ভর্তি করানোর পরে দু’দিন কাটতেই, হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাধীন প্রৌঢ়কে আর খুঁজে পাননি তার পরিজনেরা। ২১ তারিখ দুপুরের পর থেকে ওয়ার্ড থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান বিশ্বনাথবাবু। সেদিন হাসপাতাল চত্বরে খোঁজ খবর নিয়েও তাঁর কোনওরকম খোঁজ পাননি তার পরিজনেরা।
advertisement
পরিবারের দাবি, হার্নিয়া অপারেশনের আতঙ্কেই হাসপাতাল থেকে পালানোর সিদ্ধান্ত নেন বিশ্বনাথ রায়। হাসপাতাল থেকে পালিয়ে ৩ দিন শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান তিনি। হাসপাতালের তরফেও কোনওরকম সদুত্তর রোগীর পরিবার পায়নি, এমনটাই অভিযোগ ছিল তাঁদের। ঘটনার একদিনের মাথায় ২২ তারিখ স্থানীয় ভবানীপুর থানায় গিয়ে মিসিং ডায়েরি করা হয় নিখোঁজ বিশ্বনাথ বাবুর পরিবারের লোকজনের তরফে।
আরও পড়ুন : পরিচারিকার সঙ্গে শারীরিক মিলনের সময় বৃদ্ধের মৃত্যু, দেহ লোপাটের দায়ে গ্রেফতার ৩
ডায়েরি করার পরে তাঁর খোঁজে নামে কলকাতা পুলিশ। ভবানীপুর থানার আধিকারিকরা জানতে পারেন, নারকেলডাঙা থানার তরফে উদ্ধার করা হয়েছে একই বিবরণের একজন প্রৌঢ়কে। ভবানীপুর থানার তরফে তাঁকে নিয়ে এসে তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। বিশ্বনাথবাবুকে শনাক্ত করে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান তার পরিজনেরা। তবে কীভাবে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে রোগী বেরিয়ে নারকেলডাঙা এলাকায় পৌঁছলেন, তা এখনও জানতে পারেনি পরিবার। তবে ভয় পেয়েই তিনি পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে দাবি পরিবারের।
আরও পড়ুন : ঘুড়ির মধ্যেই ফুটবল বিশ্বকাপ, কলকাতার আকাশে বিশ্বকাপের লড়াই
৩ দিন শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে শারীরিকভাবে এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি বিশ্বনাথ রায়।প্রসঙ্গত চলতি বছরে এর আগেও চিকিৎসাধীন রোগী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল শহরের সরকারি হাসপাতালে। এর আগের ঘটনাটি নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঘটেছিল। হুগলি জেলার আরামবাগের বাসিন্দা রোকেয়া বিবি চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন সেখান থেকে। সে বার সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছিল রোগিণী নিজে হেঁটে বেরিয়ে যাচ্ছেন হাসপাতাল থেকে। বার বার সরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন রোগীর বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনা সামনে আসায় প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে সরকারি হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে।