মামলাকারীর আইনজীবী জানান যে, অতীতে এই নাবালকের বাবা-মায়ের বিবাহবিচ্ছেদের আইনি প্রক্রিয়ায় অনুপস্থিত ছিলেন বাবা, তাই এই মামলার ক্ষেত্রে তিনি নাও যুক্ত হতে পারেন। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “বাবাকে নিজের বক্তব্যের পেশ করার সুযোগ দিতে হবে। তিনি মামলায় যুক্ত না হলে সেই মতো নির্দেশ দেবে আদালত।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৯ জুলাই।
আরও পড়ুন: বাবার গাড়ি নিয়ে পথ আটকে তৃণমূল নেতাকে গুলি, কোচবিহারে গ্রেফতার বিজেপি বিধায়কের ছেলে! ধৃত চালকও
advertisement
মামলাকারী পুত্রের আইনজীবী জানান যে, জন্মের শংসাপত্রে নামের সঙ্গে বাবার পদবি যুক্ত থাকলেও পরবর্তীতে আধার, পাসপোর্টে ও অন্যান্য নথিতে মায়ের পদবি রয়েছে। সম্প্রতি নবম শ্রেণীতে উঠলে, স্কুলের বোর্ডের রেজিস্ট্রেশন করার সময়, জন্মের শংসাপত্রে বাবার পদবি ও অন্যত্র নথিতে মায়ের পদবি থাকায় রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়ে জন্মের শংসাপত্রে পদবি পরিবর্তনের পরামর্শ দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এরপর চন্দননগর পুরসভায় সেই আবেদন করা হলেও, জন্মের শংসাপত্রে পদবি সংশোধন করা যাবেনা বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। আইনজীবীর অভিযোগ জন্মের শংসাপত্রে পদবি পরিবর্তন সংক্রান্ত কোনও নিয়মের বাঁধা না থাকেলও, অস্বাভাবিক যুক্তি দিয়ে এই পদক্ষেপ করতে অরাজি পুরসভা। আদালত পদবি পরিবর্তনের নির্দেশ দিক পুরসভাকে আবেদন করেন আইনজীবী।
আদালত সূত্রে খবর ২০০৮ সালে দম্পতির বিবাহ হলে ২০১১ সালে জন্ম হয় পুত্রসন্তানের। সন্তান জন্মের দু’মাসের মধ্যে দাম্পত্য বিবাদের জেরে আলাদা থাকতে শুরু করেন দম্পতি। মায়ের কাছে থাকে পুত্র এবং পরবর্তীতে ২০১৫ সালে আইনত বিবাহবিচ্ছেদ হয় মামলাকারীর বাবা-মায়ের। জন্মসূত্রে নামের সঙ্গে বাবার পদবি ‘চট্টোপাধ্যায়’ থাকলেও বেড়ে ওঠার সময় বিভিন্ন পরিচয়পত্রে ও নথিতে মায়ের পদবি ‘ভট্টাচার্য’ ব্যবহার করে আবেদনকারী পুত্র। বাবার পদবির পরিবর্তে জন্মের শংসাপত্রে মায়ের পদবি ব্যবহার করার আবেদন করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সে।