আরও পড়ুন-আজও স্বাভাবিকের নিচেই পারদ, উত্তরবঙ্গে হালকা বৃষ্টি এবং দক্ষিণবঙ্গে কুয়াশার সম্ভাবনা
হাওড়া আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের নথিভুক্ত রয়েছে ওই বাসের রেজিস্ট্রেশন। ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে কেনা হয়েছিল বাসটি। ওই একই বছরের ১৬ নভেম্বর বাসটির রেজিস্ট্রেশন করানো হয়। ১৩ বছর ধরে রাস্তায় চলছে বাস। তার মধ্যে প্রায় ৩ বছর ৪ মাস ফিটনেস না করিয়েই রাস্তায় যাত্রী বহন করছিল এই বাস। রাজ্য পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, মালিকানা ও রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে নানা জটিলতা থাকার কারণে এই বাস কালো তালিকাভুক্ত হয়ে আছে। তার পরেও কি করে এই বাস রাস্তায় নেমেছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন (Kolkata Bus Accident)।
advertisement
রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘‘যে সমস্ত বাসের ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই সেই সব বাসকে বাজেয়াপ্ত করা হবে। পুলিশের সহায়তা নিয়ে মোটর ভেহিক্যালস বিভাগ এই কাজ করবে।’’ নিয়মানুযায়ী, নতুন গাড়ি রাস্তায় নামলে প্রথম আট বছরে, প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর গাড়ির সিএফ বা ফিটনেস সার্টিফিকেট নেওয়া হয়। একটি বাসের আয়ু ১৫ বছর। এর মধ্যে প্রথম আট বছরে ৪ বার সিএফ পরীক্ষা। এর পরের ৭ বছর প্রতি বছরেই ফিটনেস বাধ্যতামূলক হয়ে যায়৷ কিন্তু এক্ষেত্রে কোনওটাই করা হয়নি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন-Viral News: এক সঙ্গে আট বউকে নিয়ে সংসার ! কেমন আছেন এই যুবক ?
এই বেআইনি বাস নিয়ে সরব হয়েছেন, বাস মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। বাস-মিনিবাস সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান রাহুল চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘এই গাড়ি বেআইনি। এরকম বহু গাড়ি বেআইনি ভাবে রাস্তায় চলছে। কিন্তু নজরদারির অভাব। আজ এই দূর্ঘটনা ঘটেছে তাই এটা ধরা পড়েছে। আমরা সংগঠনের তরফ থেকে বারবার প্রশাসনকে বলছি ব্যবস্থা নিতে। একইসঙ্গে বাস মালিকদের অনুরোধ, আমাদের অনেক দাবি-দাওয়া থাকতে পারে। কিন্তু বাস যখন যাত্রী নিয়ে রাস্তায় নামছে তখন যেন পুরোপুরি সুরক্ষিত রেখেই নামানো হয়।’’ সরকার যদি বেআইনি গাড়ি ধরতে অভিযানে নামে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন বাস মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
আবীর ঘোষাল