তবে তাঁর রাজনীতির ধরন যে ভিন্ন, তার ছাপ হয়তো ব্রিগেডের সমাবেশেও ছোট্ট ঘটনায় রেখে গেলেন মীনাক্ষী৷ এ দিন নিজের বক্তব্যের শেষ দিকে কবি নজরুলের বিদ্রোহী কবিতার কয়েক লাইন বলতে গিয়ে ভুলে যান মীনাক্ষী৷ কোনওরকম অজুহাত বা অছিলার পথে না হেঁটে জনসমক্ষেই মীনাক্ষী স্বীকার করে নিলেন, তিনি কবিতার লাইন ভুলে গিয়েছেন৷
advertisement
মীনাক্ষীর ঠিক পরেই বক্তব্য রাখতে ওঠেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম৷ বিষয়টি উল্লেখ করে সেলিম বলেন, ‘আমাদের মীনাক্ষী, নজরুলের কবিতা বলতে গিয়ে ভুলে গেল৷ উত্তেজনায় ভুল গিয়েছে, রণক্লান্ত তো৷ কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পারতেন এ ভাবে ভুল স্বীকার করতে? নরেন্দ্র মোদি পারতেন এভাবে জনসমক্ষে ভুল স্বীকার করতে? কোনও দক্ষিণপন্থী, স্বৈরতন্ত্রী ভুল স্বীকার করে না৷ বামপন্থীরা ভুল স্বীকার করতে পারে৷ কোনও ভুজুং ভাজুং দিয়ে চলে না৷ বামপন্থা চোরকে চোর বলতে, দুর্নীতিকে দুর্নীতি ভয় পায়নি, কোনও দিন ভয় পায়না৷ ‘
আরও পড়ুন: শাসকের দাপটে কোণঠাসা বাংলাদেশের তৃণমূল! ওপার বাংলার ভোটে উল্টো ছবি
ব্রিগেড সমাবেশে এ দিন দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন মীনাক্ষী৷ বক্তব্যের আগা গোড়াই তৃণমূল, বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াই, আন্দোলনের কথা শোনা গিয়েছে ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদকের মুখে৷ বক্তব্যের শেষ দিকে সেই লড়াইয়ের কথা বলতে গিয়েই কবি নজরুলের বিদ্রোহী কবিতার কয়েকটি লাইন বলতে যান মীনাক্ষী৷ ‘মহা-বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত, আমি সেই দিন হব শান্ত,’- এই দু লাইন বলার পর পরের লাইনটি ভুলে যান মীনাক্ষী৷ কিন্তু প্রসঙ্গ না বদলে বা বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা না করে যুবনেত্রী বলে ওঠেন, ‘ভুলে গেছি৷’
তথ্য বলছে, মাত্র ২২ বছর বয়সে কবি নজরুল ১৫০ লাইনের বিদ্রোহী কবিতাটি রচনা করেন৷ ১৯২১ সালে রচিত বিদ্রোহী কবিতাটি ইতিমধ্যেই শতবর্ষ পেরিয়েছে৷
এ দিন আগাগোড়াই মীনাক্ষীর বক্ততার নিশানায় ছিল তৃণমূল এবং বিজেপি৷ বামেদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়েও আত্মবিশ্বাসী শুনিয়েছে সিপিএমের যুবনেত্রীকে৷ তাঁর কথায়, ‘এটা টি টোয়েন্টি, টেস্ট নয়৷’