সেই একুশের নির্বাচনের আগেই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে বর্ধমানের কুলটির এই বাম যুবনেত্রীর তুলনা টেনেছিলেন বিমান বসু৷ আর আজ, যেভাবে মীনাক্ষী সমাবেশের আগে ব্রিগেডের ময়দানের উদ্দেশে রওনা দিলেন, তাতে অনেকেই বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর ছবির সঙ্গে মেলাচ্ছেন সেই ছবি৷
মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের অত্যন্ত সাধারণ জীবন যাপন, সাধারণ পোশাক৷ শ্যামলা বরণ মধ্যবিত্ত মেয়েটির মুখের কথাতেও মেঠো টান৷ মাটির কাছাকাছি থাকার একাধিক চিহ্ন জড়িয়ে রয়েছে মীনাক্ষীর ভাবমূর্তির সঙ্গে৷ যার সঙ্গে এখন অনেকেই তুলনা টানছেন তৃণমূলনেত্রী তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনাড়ম্বর জীবনযাপনকে৷
advertisement
একুশের নির্বাচনে নন্দীগ্রামে মমতা-শুভেন্দু দ্বৈরথের মাঝখানে হার নিশ্চিত জেনেও এই মীনাক্ষীকে প্রার্থী করেছিল সিপিএম৷ তাতে ভোটের অঙ্কে জয় আসেনি বটে, কিন্তু, এক যুবনেত্রীর মুখ সর্বসমক্ষে আনতে পেরেছিল বামেরা৷ যেটা হয়ত তাদের স্ট্র্যাটেজিই ছিল৷
সেই মীনাক্ষীর দায়িত্বেই গত ৫০ দিন ধরে জেলায় জেলায় চলছিল ইনসাফ যাত্রা এবং ইনসাফ সভা৷ যার শেষ হওয়ার কথা ছিল এই ব্রিগেডে৷ কিন্তু, দীর্ঘদিন ধরেই অনুমতি ছিল অমিল৷ অবশেষে, গত ৫ তারিখে মেলে সেই কাঙ্ক্ষিত অনুমতি৷ তার ২ দিনের মধ্যেই সমাবেশ৷
আরও পড়ুন: আজ ব্রিগেড! কলকাতার ৭ প্রান্ত থেকে ৭ মিছিল, কোন কোন রাস্তায় যানজটের ভয়, জানুন
এদিন ব্রিগেডের মঞ্চে মূল বক্তা তিনিই। দুপুরে দীনেশ মজুমদার ভবন থেকে ব্রিগেডের উদ্দেশে যাওয়ার সময় চড়লেন দলীয় সতীর্থের মোটরবাইকে। ব্রিগেডের উদ্দেশে গেলেন একদম সাদামাঠা পোশাকে। যে ছবি দেখে মমতার বাইকের পিছনে গন্তব্যে পৌঁছনোর ছবির সঙ্গে মিল খোঁজার চেষ্টা করছেন অনেকেই৷