প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রী অধিবেশন কক্ষে এই সংগ্রহশালার কথা জানিয়েছিলেন। এমনকি উল্লেখ করেছিলেন, যাতে সকল বিধায়ক একসঙ্গে গিয়ে এই সংগ্রহশালা দেখে আসে। আজ বিধানসভার অধিবেশন শেষে সেই সংগ্রহশালা দেখতে যাবেন বিধায়করা। তবে বিরোধী দল, অর্থাৎ বিজেপির বিধায়করা আদৌ আলিপুর সংগ্রহশালায় যাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
পুজোর আগেই কলকাতায় এই নতুন মিউজিয়াম চালু হয়েছে। আলিপুর জেলে আলিপুর সংগ্রহশালার উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে এর দরজা৷ উদ্বোধনে এসে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, "আলিপুর মিউজিয়াম একটা হেরিটেজ স্পট। আমরা জেল অধুনাকিকীকরণ করেছি। ঐতিহ্যের সংরক্ষণ করেছি৷"
advertisement
আরও পড়ুন : গলায় ত্রিশূলবিদ্ধ যুবকের অস্ত্রোপচারে লাগেনি এক ইউনিট রক্তও, হতবাক চিকিৎসকরা
এই জেলের অন্দরে রয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পদধূলি৷ সেই প্রসঙ্গও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেছিলেন, "আমাদের বাংলা যদি না থাকত তাহলে নবজারণ, স্বাধীনতা আন্দোলন হত না।" যে কুঠুরিগুলিতে স্বাধীনতা সংগ্রামীরা থাকতেন সেগুলি সংরক্ষণ করা হয়েছে৷ পুরাতন জরাজীর্ণ যন্ত্রগুলো সংরক্ষণ, পুনর্নবীকরণ এবং দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য ফুড কিয়স্ক থাকছে বলে জানান মমতা৷
আরও পড়ুন : শিক্ষকের অভাব! মালদহে সরকারি স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন মিড ডে মিলের রাঁধুনি
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, "আমদের ইচ্ছা আছে এটাকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ করার।" আলিপুর জেলে ফাঁসিতে মৃত্যুবরণ করেছিলেন বহু স্বাধীনতা সংগ্রামী। সেইসব ঘরকে আগেই হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের প্রতিদিন ভিড় হচ্ছে এই সংগ্রহশালা দেখার জন্যে৷ পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "বিধানসভা একতার জায়গা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন মতাদর্শ থাকতে পারে। কিন্তু তার বাইরে এই ভবন বিধায়কদের নিজেদের। তাই আশা করি সকলে নিজেদের রাজনৈতিক পরিচয় ভুলে এই ধরনের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।"