মঙ্গলবার দেড় ঘন্টার ভিডিও কনফারেন্স করে প্রতিটি জেলায় খাদ্য দফতরের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বললেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বৈঠকে ছিলেন খাদ্য সচিব মনোজ আগরওয়াল। অনিয়ম দেখলেই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ এড়াতে ভিড় এড়িয়ে চলতে বলছেন চিকিৎসকরা। যদিও গত কয়েকদিনে রেশন দোকানে দেখা গিয়েছে ভিড়। কেউই মানছেন না সামাজিক দূরত্ব। এমনকি মারামারি করতে অবধি দেখা গিয়েছে। কলকাতা থেকে পুরুলিয়া, কল্যাণী থেকে কোচবিহার অনেকেই রেশন দোকান বন্ধ করে দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। এই অবস্থায় রেশন দোকান খোলা থাকলে যাতে কোনও সমস্যা আর নতুন করে না তৈরি হয় তা নিয়ে এদিনের বৈঠকে বারবার আলোচনা হয়েছে।
advertisement
রাজ্যে বহু মানুষের কাছে রেশন কাড এখনও পৌছয়নি। তাদের জন্যে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ব্লক লেভেল অফিসার মাধ্যমে তাদের দেওয়া হয়েছে বিশেষ পাস বা কুপন। ধরে নেওয়া হচ্ছে সেগুলি হাতে সবাই পেয়ে গেলে আবার হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যাবে রেশন দোকানের সামনে। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সব রেশন দোকানে গ্রাহকদের সময় লেখা চিরকুট দেওয়া হবে।
সেই চিরকুটে লেখা সময় দেখিয়ে তবেই মিলবে রেশন।তবে গ্রামগুলিতে এই পদ্ধতি কতটা কাজে আসবে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, "পুলিশকে বলা হয়েছে এই বিষয়টি দেখতে। নিয়ম না মেনে যদি রেশন দোকানের সামনে এসে ভিড় জমায় তাহলে তারা ব্যবস্থা নেবে।"
রাজ্যের ২০ হাজার ৫০০ দোকানে এই কাজ করা কতটা সম্ভব হবে তা ভাবাচ্ছে খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের। এখন প্রতিদিন রেশন দোকান খোলা রয়েছে। দুপুরের দু'ঘন্টা সময় বাকি রেখে রাত ৯টা অবধি দোকান খোলা আছে। খাদ্য দফতর মনে করছে এর পরেও যদি এসে ভিড় জমায় তাহলে ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যদিকে, অভিযোগ উঠছে একাধিক জায়গায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা গিয়ে ডিলারদের থেকে খাদ্য সামগ্রী দাবি করছেন। কাউকে কোন খাবার সামগ্রী দেওয়া হবে না। ডিস্ট্রিক্ট কন্ট্রোলার দের এই কথা জানিয়ে দিয়েছে খাদ্য দফতর।যে রাজনৈতিক দলের নেতাই হোক না কেনো, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী।
১ এপ্রিল থেকে রাজ্যে রেশন বিলি শুরু হয়েছে। প্রথম সাত দিনে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। যার মধ্যে অন্যতম অভিযোগ হল নিম্ন মানের জিনিসপত্র দেওয়া হয়েছে। কম ওজনের খাদ্যশস্য দেওয়া হচ্ছে। খাদ্য দফতর সরাসরি অভিযোগ পেয়ে ২২ রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। আধিকারিকদের বলা হয়েছে এমন অভিযোগ পেলে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষ করে উত্তরের জেলাগুলি থেকে এই অভিযোগ সবচেয়ে বেশি এসেছে।
ABIR GHOSAL