কবে পুরভোট হবে, তা এখনও জানাতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। ইভিএম-এ পুরভোট নাকি ব্যালটে, তা নিয়েও উত্তর নেই কমিশনের কাছে। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। মাস দেড়েকের মধ্যেই কলকাতা ও হাওড়ায় পুরভোট হওয়ার কথা। তারপরেও একে একে ভোট হবে রাজ্যের বেশ কয়েকটি পুরসভায়। এই পরিস্থিতিতে গত বুধবার ১৮টি জেলার প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস।
advertisement
আইন অনুযায়ী, রাজ্যের হাতে পুর নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার ক্ষমতা রয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী, যদিও কমিশনের হাতেই পূর্ণ ক্ষমতা রয়েছে। পুর আইনকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৩ সালে হাইকোর্টে মামলাও করেন তৎকালীন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে। কিন্তু তারপরেও মেটেনি সমস্যা। পুর নির্বাচন নিয়ে রাজ্যের হাতেই থেকে গিয়েছে সব ক্ষমতা। সেই সীমাবদ্ধতার জন্যেই পুর নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে পারছে না কমিশন। তবে পুর নির্বাচনের আগে জেলা প্রশাসনগুলির জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার৷
কমিশনের নির্দেশিকা, জেলা প্রশাসনগুলিকে স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করতে হবে। ভিডিওগ্রাফির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। ১৪০০-র বেশি ভোটার থাকলেই অতিরিক্ত বুথ তৈরি করতে হবে। যত বেশি সম্ভব মডেল বুথ তৈরিরও পরামর্শ দিয়েছে কমিশন। অভিযোগ জানানোর ওয়েবসাইট 'জেমস' আপডেট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, দোলের পর ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।