শারীরিক সমস্যা দেখা যাওয়ায় তাকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়ছিল মালদহের মেডিক্যাল কলেজে। সেখান থেকে তাকে রেফার করা হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে ইউএসজির পাশাপাশি একাধিক শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষায় ধরা পড়ে পাথর। মূত্রনালিতে বিশাল ওজনের একটি পাথর রয়েছে বলে জানা যায়। সে জন্য বার বার সংক্রমণ হচ্ছিল।
advertisement
এর পর শুক্রবার বিভাগীয় প্রধান ডাঃ সুজয় মৈত্র এবং আরএমও ডাঃ মিত্রজিৎ মল্লিক ওপেন সার্জারি করে পাথর বের করেন। পাথরের নমুনা বায়োপসি এবং অন্যান্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
অপারেশন পরবর্তী সময়ে কিডনি ঠিকমতো কাজ করছে কিনা দেখতে কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রেখে তারপর ওই কিশোরকে ছুটি দেওয়া হবে। তবে এর আগে এত বড় ওজনের পাথর আগে দেখা গিয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা।
মূত্রনালিতে পাথর হওয়ার একাধিক কারণ থাকে। পেটের উপরের অংশে বা পিঠের দিকে ব্যথা, সঙ্গে জ্বর, বমি ইত্যাদি মূত্রন্ত্রে পাথরের লক্ষণ। এর সঙ্গে আরও কিছু উপসর্গ থাকে। যেমন বার বার প্রস্রাবের রাস্তায় যদি ইনফেকশন হয়, অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হলেও যদি ইনফেকশন প্রশমিত না হয় তখনই পরীক্ষা করা হয় পাথর আছে কি না। এছাড়াও প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত, পুঁজ এবং অনেক ক্ষেত্রে প্রস্রাবের সঙ্গে পাথরও বের হয়। ছোট আকারের পাথর, প্রস্রাবের নালী দিয়ে আসতে পারে। তবে বড় আকারের পাথর হলে তখন সেটা অস্ত্রোপচার করে শরীর থেকে বার করা হয়। সেই অস্ত্রোপচারই করা হয় মালদহের ওই নাবালকের শরীর থেকে।