শোভন সরাসরি অভিযোগ করে বলেন, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তাঁকে বদনাম করার ষড়যন্ত্রই করার জন্যই অনেকে তাঁর নামের পাশে বৈশাখীর নাম জড়াচ্ছেন ৷
শোভনের কথায়, ‘ভাবনাচিন্তা করে ডিভোর্সের মামলা করেছি ৷ ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই ৷ বিপদের দিনে বন্ধু বৈশাখী ৷ কেউ পায়ের পাতা ভেজালে ৷ আমি তার জন্য নাক পর্যন্ত ভেজাতে পারি ৷ আইন মেনেই গোলপার্কের বাড়িতে আছি’’
advertisement
পারিবারিক ও কর্মক্ষেত্রে জোড়া বিতর্ক। তা থেকেই জলঘোলা। বিবাহ-বিচ্ছেদ, নিরাপত্তার অভাব, দলের অন্দরে ক্ষমতা কমে আসা ইত্যাদি ইত্যাদি ৷ সংবাদমাধ্যমে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে বিভিন্ন খবর। সেখান থেকেই একাধিক জল্পনা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পরই পুরনো মেজাজে শোভন চট্টোপাধ্যায়। পুরসভায় নিজের ঘরে বসেই স্পষ্ট করলেন অবস্থান।
স্ত্রীর বিরুদ্ধে ডিভোর্সের মামলা। শ্বশুরবাড়ির তরফে হামলার আশঙ্কার করে বাড়তি নিরাপত্তার দাবি। এই সব ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল রাজনৈতিক কেরিয়ার। তারপরও এব্যাপারে অনড় অবস্থানই নিচ্ছেন শোভন। অধ্যাপিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করেননি। তবে বিপদের দিনে পাশে দাঁড়ানো পারিবারিক বন্ধুর পাশেই থাকবেন, তাও স্পষ্ট করেন মেয়র। একের পর এক বিতর্কের জেরে দলের সঙ্গেও যোগাযোগ কমছিল মেয়রের। বিশেষত দলের কোর কমিটির বৈঠকে না যাওয়ায় প্রশ্নের মুখে পড়েন। আপাতত পদ হারাতে হচ্ছে না। কিন্তু পারিবারিক সমস্যায় জেরবার হচ্ছিলেন, তাঁর পদ ঘিরেও শুরু হয়েছিল সংশয়। অফেন্স ইজ দ্যা বেস্ট ডিফেন্স কৌশলেই সাংবাদিকদের সামনে চাঁচাছোলা উত্তর।
সাংবাদিকদের শোভন জানান, বৈশাখী তাঁর পরিবারের অনেক দিনের বন্ধু ৷ সু-সময়েও যেমন বৈশাখীকে পাশে পেয়েছেন, তেমনি কষ্টের সময়ও পাশে রয়েছেন বৈশাখী ৷ বৈশাখী পাশে ছিলেন বলেই মনের জোর পেয়েছেন সব বিপদে ৷ একথা সাংবাদিকদের স্পষ্টই জানান মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় !