মতুয়াদের প্রধান দাবি নাগরিকত্ব অধিকার এবং শরণার্থীদের পুনর্বাসন।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রকৃতপক্ষে, ঠাকুরনগরের বনগাঁয় মতুয়া মহাসংঘের সদর দফতর থেকে তাঁর ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলা প্রচার শুরু করেছিলেন। বিজেপি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনেও একই সংযোগের প্রতিলিপি করার চেষ্টা করছে ৷ কিছু মতুয়া নেতারা সিএএ বিলম্বের বিষয়ে সোচ্চার হওয়ার পরে তৃণমূল কংগ্রেসও তাদের রাজনৈতিক কৌশল দেখিয়েছে।
advertisement
লোকসভা ভোটের সাড়ে চার বছর পরেও কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ বাস্তবায়নের তারিখ ঘোষণা করেনি বলে তারা ক্ষুব্ধ ছিলেন। তবে আরও একটি লোকসভা নির্বাচনের আগে সিএএ নিয়ে ধারা লাগু করে দেওয়ায় স্বস্তিতে বিজেপি শিবির। তৃণমূল কংগ্রেস তাদের প্রচারে বলেছিল যে বিজেপি একটি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং মতুয়াদের ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রয়োজন নেই এবং বাস্তবে যদি সিএএ কার্যকর করা হয় তবে মতুয়ারা তাদের জমি এবং পরিচয় হারাবে। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, সিএএ ভারতীয়দের অধিকার। সেটা কার্যকর হবেই।
সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপি উত্তর ২৪ পরগণা জেলায় সাফল্য পেয়েছিল ৷ ২০১৪ সালে বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র দখল করেছিল। অমিত শাহ বাংলা সফরে নমঃশূদ্র পরিবারের সঙ্গে ভোজন সেরেছিলেন এবং রাজ্যের অন্যান্য উদ্বাস্তুদের আশ্বাস দিয়েছিলেন যে দেশে কোভিড টিকাদান অভিযান সম্পূর্ণ হলে সিএএ কার্যকর করা হবে। এ- ছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী মোদি, তার বাংলাদেশ সফরের সময়, একটি মতুয়া মন্দির পরিদর্শন করেন।
মমতাবালা ঠাকুর মতুয়াদের মুখ। মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা ২০১৫ সালে বনগাঁ লোকসভার উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রতীকে জয়ী হয়ে সাংসদ হন। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বনগাঁয় মমতাবালার স্বামী কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই প্রয়াত হন কপিলকৃষ্ণ। তাঁর প্রয়াণে শূন্য হওয়া আসনে জয়ী হন মমতাবালা। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে প্রয়াত বীণাপানি দেবীর ছোট নাতি এবং বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের কাছে পরাজিত হন তিনি। গত বিধানসভা ভোটেও মতুয়া ভোটের সিংহভাগ বিজেপির পক্ষেই গিয়েছে। এ অবস্থায়, আগামী লোকসভা ভোটে হারানো ভোট পুনরুদ্ধারই তৃণমূলের লক্ষ্য।