সেতু বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রথমেই সংষ্কার করতে হবে কালীঘাট ব্রিজ। যদিও এই ব্রিজটি ভেঙে নতুন করে তৈরির পক্ষে মত দিয়েছে সেতু বিশেষজ্ঞ কমিটি। কিন্তু দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত এই সেতু ভেঙে কাজ করতে গেলে যে ধরণের যানজট তৈরি হয়ে যাবে তা মোকাবিলা করা কার্যত অসম্ভব এই মুহূর্তে। তাই দ্রুত সংষ্কারের কাজে হাত দেবে কে এম ডি এ। এই কাজ করতে গিয়ে কালীঘাট সেতুর স্প্যান বদল ও পিলার সংষ্কারের জন্যে খরচ পড়বে প্রায় ১৮ কোটি টাকা। এর পরে কাজ করা হবে শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সেতু শিয়ালদহ বিদ্যাপতি সেতুর। আগামী সপ্তাহে এই সেতু নিয়ে হকার কমিটির সাথে আলোচনা করবে কে এম ডি এ। তাদের অন্যত্র সরিয়ে সেতু সংষ্কারের কাজে হাত দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই এই সেতুর ভার লাঘব করতে পিচের আস্তরণ সরানো হয়েছে। এই সেতু সংষ্কারের জন্যে খরচ ধরা হয়েছে ৯ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা।
advertisement
এরপর সংষ্কারের তালিকায় আছে বালিগঞ্জ বিজন সেতু। এই সেতুর পিলার, এক্সপ্যানশন জয়েন্ট সহ একাধিক জায়গায় নানা ধরণের অসুবিধা ধরা পড়েছে। খালি চোখে ধরা পড়া ফাটল সারানো গেলেও ভিতরের কাজ নিয়ে এখনও সংশয় আছে। সেই কাজ দ্রুত শুরু করা হবে। এই কাজের জন্যে খরচ ধরা হয়েছে ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। একই সাথে কাজ হবে ঠিক গঙ্গার বিপরীত পাড়ের বঙ্কিম সেতুতে। এই সেতু সংষ্কারের জন্যে ৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা খরচ হবে। উল্টোডাঙা সেতু সময় নিয়ে সংষ্কার করা হয়েছে। এখনও বেশ কিছু কাজ বাকি আছে তা করতে খরচ হবে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। ফলে সব মিলিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ হবে এই সব সেতু সংষ্কার করতে গিয়ে।
রাজ্যের নগরায়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, "আগে জেএনএনইউআরএম প্রকল্পে কাজ হত। কেন্দ্র এখন সব টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে আমাদের রাজ্যের টাকা দিয়েই সব কাজ সারতে হবে। ধীরে ধীরে সেই টাকা দিয়েই কাজ হবে। যে সব সেতু দ্রুত সংষ্কারের কাজ করতে হবে সেগুলি আগে গুরুত্ব দেওয়া হবে। পরে বাকি কাজ করা হবে।" সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই কে এম ডি এ রাজ্যের অর্থ দফতরের সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে শুরু করেছে।
ABIR GHOSHAL
