মাধ্যমিকের উত্তরপত্র মূল্যায়নে ভুলের অভিযোগ নিয়ে প্রত্যেক বছরই জেরবার হচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। বিশেষত কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী প্রত্যেক বছরই আরটিআই করছে নম্বর বৈষম্যের অভিযোগ নিয়ে। শুধু তাই নয় প্রত্যেক বছর লক্ষাধিক কাছাকাছি পরীক্ষার্থী রিভিউ ও স্ক্রুটিনি করছে। দেখা যাচ্ছে কোন সময়় শিক্ষকরা উত্তরপত্র মূল্যায়ন করলেও নম্বর গুনতে বা যোগ করতে ভুল করছেন।আবার কখনো দেখা যাচ্ছে যে প্রশ্নের ক্ষেত্রে যে নম্বর পাওয়ার কথা পরীক্ষার্থীদের তা দেওয়া হচ্ছে না। এর জেরে প্রত্যেক বছরই কয়েক হাজার পরীক্ষার্থীর নম্বর বাড়ছে।শুধু তাই নয় নম্বর বাড়ার জেরে পরিবর্তন হচ্ছে মাধ্যমিকের মেধা তালিকারও। আর তাই এ বছর তার পুনরাবৃত্তি চাইছে না মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কোন প্রশ্নের কিভাবে উত্তর লিখলে কত নম্বর দিতে হবে তার বিস্তারিত খসড়া করে নির্দিষ্ট বিষয় শিক্ষকদের দেওয়া হচ্ছে পর্ষদের তরফে। তার পাশাপাশি শিক্ষকদের উত্তরপত্রে জানিয়ে দিতে হবে কোন প্রশ্নের উত্তরে কী কী লেখার জন্য তাকে কত নম্বর দেওয়া হল। তার জন্য শিক্ষকদের উত্তরপত্রে প্রত্যেকটি প্রশ্নের মূল্যায়ন করার পর নির্দিষ্ট করে একটি টেবিল আকারে তার বর্ণনাও দিতে হবে।
advertisement
এ প্রসঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট করে না বললেও তিনি জানান "যা নির্দেশ দেওয়ার প্রধান পরীক্ষকদের দেওয়া হচ্ছে, আশা করি তাদের দেওয়া নির্দেশাবলী দেখেই তারা উত্তরপত্র মূল্যায়ন করবেন।" পর্ষদ সূত্রের খবর গত শুক্রবার ই বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ের প্রধান পরীক্ষকদের নিয়ে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছেন পর্ষদ সভাপতি।সেই বৈঠকেই প্রধান পরীক্ষকদের নম্বর বৈষম্য নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।পরীক্ষার্থীদের নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন শিক্ষক বৈষম্য করলে বিভাগীয় তদন্তের মধ্যেও তাদের যে পড়তে হবে সেই বৈঠকেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি। তবে এ বিষয়ে অবশ্য কোন মন্তব্য করতে চাননি পর্ষদ সভাপতি।