তালুকদার কমিটি কিছু টাকা ফিরিয়েছে অ্যালকেমিস্ট,ভিবজিওর চিটফান্ডের। এমপিএসের সম্পতি নিলামের বন্দোবস্তও করেছে।বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ বরাবর চিটফান্ড মামলার শুনানি করে এসেছেন। বিচারপতি বাগচি অন্ধ্রপ্রদেশে বদলি হন বেশ কিছুদিন আগে। তারপর থেকে চিটফান্ড মামলার শুনানি কার্যত বন্ধ। মাঝে কোভিড পরিস্থিতি টাকা ফেরতের প্রক্রিয়াকে আরও দীর্ঘায়িত করে।সেই অবস্থায় আমানতকারীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুক্রবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল জানান, সব চিটফান্ড মামলার যাবতীয় আবেদনের শুনানি হবে তাঁর ডিভিশন বেঞ্চে । মূলতঃ টাকা ফেরতের আবেদন নিয়ে করা মামলাই বেশি। সঙ্গে রয়েছে জামিনের আবেদন, সব মামলাই শোনা হবে ডিভিশন বেঞ্চে। তালুকদার কমিটির কাছে কত চিটফান্ড মামলা ঝুলে এবং বাকি কত মামলা হাইকোর্টে বিচারাধীন সেই সংক্রান্ত তথ্য সোমবারের মধ্যে আদালতকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। হাইকোর্টের নির্দেশমত তথ্য তুলে ধরা হবে সোমবার, জানিয়েছেন আমানতকারীদের আইনজীবী অরিন্দম দাস।
advertisement
আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানাচ্ছেন, সব মামলার একযোগে একই ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হলে টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া দ্রুত হবে। উল্লেখ্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে শুক্রবার ছিল সারদার অন্যতম অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের জামিন সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি। এদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জানান, চিটফান্ডের ফৌজদারি মামলার শুনানিও হবে একই ডিভিশন বেঞ্চে। নারদা পর চিটফান্ডের মামলাতেও দুই রকমের মামলার বিচার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে। এটিও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত মামলার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবী অরিন্দম দাসের। সম্প্রতি বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চ পৈলান চিটফান্ডের মামলার পর্যবেক্ষণে জানায়, পৈলান চিটফান্ডের আমানতকারীদের আবেদন মত ৫০০ কোটির প্রতারনা অঙ্ক। এই অঙ্কের ৮০% অর্থাৎ ৪০০কোটি টাকা জমা করলে তবেই চিটফান্ড কর্তার মিলবে জামিন।
এমন কড়া পর্যবেক্ষণের পর টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে আরও আশাবাদী হয়ে ওঠেন লক্ষ লক্ষ আমানতকারী। ইতিমধ্যে অ্যালকেমিস্ট, ভিবজিওর চিটফান্ড তালুকদার কমিটির মাধ্যমে টাকা ফেরাতে শুরু করেছে।আলকেমিস্ট ১৫-২০ কোটি ফিরিয়েছে। আর ভিবজিওর ৫০০০ টাকা পর্যন্ত রাখা আমানত ফেরত দিচ্ছে প্রতিদিন ১০০ জনের। কার্যত লকডাউনে সেই প্রক্রিয়া থমকে। তবে রোজ শুনানি হলে আমানতকারীদের টাকা পাওয়ার আশা আরও বাড়বে।