তিনি লিখেছেন, বলাগড়বাসী আপামর জনগণ, আমি আপনাদের সেবক ভাই বন্ধু, আপনাদের জ্ঞাতার্থে অতি মনোদুঃখে জানাচ্ছি, বিগত কয়েক দিন ধরে যা চলছে আপনারা সবাই জ্ঞাত আছেন। আর কেন আমি বলাগড় বিধানসভা থেকে দূরে বসে আছি সেই কদাকার ঘটনাক্রম নিয়ে আগামী ৭ জানুয়ারি রাত আটটার সময় আমি ফেসবুক লাইভ করতে চলেছি। বলা চলে শেষ জবাব দিতে চলেছি।
advertisement
মনোরঞ্জন ব্যাপারীর সংযোজন, সেদিন আমি কিছু নিজের কথা বলব আর কিছু আপনাদের মনের মধ্যে ঘুরপাক খাওয়া প্রশ্নেরও জবাব দেব। সাংবাদিক বন্ধুদেরও বলছি তৈরি থাকুন। তারপর ঘোষণা করবো আগামী দিনের কর্মসূচি। যাতে আমার বা তৃণমূল দলের লাভ হবে না ক্ষতি, সেটা আমি জানি না। দুই তিন বছর অনেক অপমান অনেক সহ্য করেছি। আর নয়, লড়াই এবার এসপার ওসপার।
আরও পড়ুন: ভারতের আছে, অথচ ভারতীয়দেরই প্রবেশের অধিকার নেই! আসলে কী চলে এই ক্যাফের ভিতর?
তৃণমূল বিধায়কের সংযোজন, ”এক মাটি মাফিয়া, বালি মাফিয়া গাঁজার পাচারকারীদের সহায়ক জুয়ার বোর্ড চালানো উপনেতা- আমাকে চোর বলেছে খুনি বলেছে ধর্ষণ বলছে। আমি নাকি মহাশ্বেতা দেবীর লেখা নিজের নামে ছাপিয়ে কয়েক লক্ষ না কোটি কামিয়েছি, সেই আমাকে দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলাগড়ের বিধায়ক বানিয়েছেন। আমি যদি এই তাহলে দিদি বা কেমন মানুষ? তিনি আমার বিষয়ে কোন খোঁজ খবর নিলেন না? আর এই দলটিই বা কেমন? যারা এমন একটা চোর ছ্যাচোরকে দলের সঙ্গে যুক্ত করলেন? তাহলে যে বিরোধীরা বলে ‘চোর চোর চোর চোর- তৃণমূলের সবাই চোর’! সেটা কি সত্যি? চোর ছাড়া দলে আর কোনও লোক নেই?
আরও পড়ুন: ডিয়ার লটারির টিকিট কাটেন? যা ঘটল, আর টিকিট কাটতে ভয় পাবেন! কারণ নতুন নিয়ম
এরপরই কটাক্ষ করে মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, সেই যে- বলাগড়ের ফুলন দেবী! যে সাথে কুড়ি পঁচিশজন সার্ফ শুটার নিয়ে ঘোরে, যে আমাকে মহিপাল পুরে জনসভা করে মাটিতে পুঁতে দেবে বলেছে! হয় সে আমাকে সত্যি সত্যিই পুঁতে দেবে, আর তা না হলে আমি তাকে তার রাজনৈতিক জীবন থেকে রিটায়ার্ড করিয়ে দেব। দেখব তাঁর কলকাতার ‘বাবু’ তাঁকে কি ভাবে বাঁচায়! আর হ্যাঁ, যে স্কুলে কোনও পদ ছিল না। কলকাতার বাবুর সহায়তায় সেখানে একটা পদ সৃষ্টি করে ১৭ সালে চাকরিতে যোগ দেয়, সে যে দীর্ঘ চার পাঁচ বছর একজন শিক্ষিকা হয়ে, একদিনও ডিউটি না করে- কেমন করে মাইনে পেল সেটাও অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে থেকে আমি জেনে নেব। আমিও দেখতে চাই তার কত ক্ষমতা। পথে আমি নেমে পড়েছি, পারলে এখন কাজ না করে মাইনে নিয়ে দেখাক তো দেখি! তাহলে তাঁর যা হওয়ার, সে তো হবেই, স্কুল কর্তৃপক্ষকেও আমি ছাড়ব না। আইন-কানুন সব কিছুর চেয়ে বড় মানুষের শক্তি। মানুষ নিয়ে পথে নামব এবার।”
তৃণমূল বিধায়কের কথায়, ”লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচাতে চাই। খুব ছোটবেলায় শুনে ছিলাম এই স্লোগান! এখন বুঝতে পারছি এর কোনও বিকল্প নেই। বলাগড়ে যা চলছে, দল নেতারা সবাই সব কিছু জানে, তবু কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ধৃতারাষ্ট্রের মতো চোখ বুজে আছে। এদের উপরে ভরসা না করে- মনে হচ্ছে এবার আমার লড়াই আমাকেই নিজে লড়ে নিতে হবে। এতে হারব না জিতবো তা জানি না , তবে লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে পালাব না, সেই গ্যারান্টি রইল। সবাইকে ধন্যবাদ। জয় বাংলা। জয় দিদি মমতা ব্যানার্জী।”