প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে এই তাপস মণ্ডলের খোঁজ পায় ইডি৷ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আড়ালে একাধিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ খুলেছিলেন তাপস মণ্ডল৷ উত্তর চব্বিশ পরগণায় তাঁর বাড়িতে এবং মহিষবাথানের অফিসেও তল্লাশি চালায় ইডি৷
আরও পড়ুন: লটারিতে কোটি টাকা জিতেও চাপে অনুব্রত, সিবিআই দফতরে এলেন বোলপুরের লটারি ব্যবসায়ী
advertisement
এ দিন ফের একবার সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয় তাপস মণ্ডলকে৷ হাজিরা দিতে এসে ইডি দফতরে ঢোকার সময় তাপসবাবুকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, মানিক ভট্টাচার্য তাঁর কাছ থেকে টাকা নিতেন কি না৷ জবাবে তাপস মণ্ডল রাখঢাক না করেই জানান ডি. এলএড-এ অফলাইনে ছাত্র পিছপ রেজিস্ট্রেশনের জন্য মাথাপিছু ৫০০০ টাকা করে নিতেন মানিক ভট্টাচার্য৷ প্রায় ৬০০ কলেজ থেকে এভাবে টাকা তোলা হত বলে অভিযোগ করেন তাপস মণ্ডল৷
আরও পড়ুন: দিল্লির ইডি দফতরে সুকন্যা, সায়গলের সামনে বসিয়ে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ
তাপস বলেন, 'ডি. এলএড-এ অফলাইনে ছাত্র ভর্তি নিয়ে যা যা নথি চাওয়া হয়েছিল সেগুলো দিতে এসেছি৷ আমার অফিসের কর্মীরাই আমাকে বলেছেন যে উনি লোক পাঠিয়ে টাকা এবং ফাইল নিয়ে যেতেন৷' তখন সাংবাদিকরা ফের তাঁকে প্রশ্ন করেন, 'কে টাকা নিতেন? নামটা বলুন৷' জবাবে তাপস বলেন, 'মানিক বাবু৷'
এর আগে মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে এই টাকা তোলার কথা এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার চার্জশিটেও উল্লেখ করেছিল ইডি৷ সেখানে দাবি করা হয়েছিল, মানিকের টাকা তোলার বিষয়টি জানতেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও৷ কিন্তু সব জেনেও কোনও ব্যবস্থা নেননি তিনি৷ এই মুহূর্তে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি রয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য৷