হাফিজুলকে গ্রেফতার করে কালীঘাট থানার পুলিশ৷ আগামী ১১ জুলাই পর্যন্ত তার পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর দাবি অনুযায়ী, প্রাথমিক জেরায় হাফিজুল পুলিশের কাছে দাবি করেছে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িকে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর বলে ভেবেছিল সে৷ তাই ভেবেই সেখানে ঢোকার চেষ্টা করে ৩০ বছর বয়সি ওই যুবক৷ কিন্তু গভীর রাতে ঠিক কোন প্রয়োজনে তার লালবাজারে যাওয়ার প্রয়োজন, তার যথাযথ ব্যাখ্যা হাফিজুল দিতে পারেনি বলেই সংবাদসংস্থা সূত্রে দাবি করা হয়েছে৷ কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করেই এই দাবি করেছে সংবাদসংস্থা পিটিআই৷
advertisement
আরও পড়ুন: জানা গেল পরিচয়, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়া যুবকের বিরুদ্ধে কড়া ধারায় মামলা
শনিবার রাত ১টা ২০ মিনিট নাগাদ হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পাঁচিল টপকে ঢুকে পড়ে হাফিজুল৷ পরের দিন সকাল আটটা নাগাদ তাকে চিহ্নিত করেন নিরাপত্তারক্ষীরা৷
হাফিজুল মোল্লা নামে ওই যুবক প্রথমে দাবি করে, সে ফল বিক্রি করে৷ আবার পরে সে নিজেকে পণ্যবাহী গাড়ির চালক বলে দাবি করে৷ পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই যুবক মানসিক ভাবে স্থিতিশীল নয়৷ শনিবার রাতে কালীঘাটে পৌঁছনোর আগে সে কোথায় কোথায় গিয়েছিল, সেই সমস্ত তথ্যও খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷
আরও পড়ুন: গভীর রাতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পাঁচিল টপকে ঢুকেছিল যুবক, এবার বড় সিদ্ধান্ত নবান্নের!
ওই পুলিশ আধিকারিক বলেন, 'আমরা ওর দাবি খতিয়ে দেখছি৷ শনিবার এখানে আসার আগে ও সারাদিন কী করেছে, কীভাবে কালীঘাটে পৌঁছল, সে সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ তাছাড়া ধৃত মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে একাই ছিল, নাকি ওর সঙ্গে অন্য কেউ ছিল, তাও আমরা খতিয়ে দেখছি৷ পুলিশ এবং নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে ও কীভাবে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকল, তাও জানার চেষ্টা চলছে৷'
ধৃত হাফিজুলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৫৮ নম্বর ধারায় ক্ষতিকারক উদ্দেশ্য নিয়ে কারও বাড়িতে অনুপ্রবেশের অভিযোগ আনা হয়েছে৷ এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েই বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে৷ বিষয়টি নিয়ে নবান্নেও উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে৷