বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপ ঘোষকে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি ওই বৈঠকে যাবেন কিনা। দিলীপবাবু পরিষ্কার ভাষায় জানান, তাঁকে এই বৈঠকে ডাকা হয়নি। তিনি বলেন, এই সফর সম্পর্কে খুব কিছু জানি না। হয়তো সরকারি সফর বলেই আমাদের জানানো হয়নি। একই সঙ্গে নিজের কর্মসূচি পরিষ্কার করে দিলীপবাবু জানিয়ে দেন, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী তিনি নিজের কেন্দ্র মেদিনীপুরের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলি দেখবেন। অনেকেই বলবেন, প্রশাসনিক বৈঠকে দলীয় নেতামন্ত্রীদের ডাকা খুব একটা যৌক্তিক নয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে ঠিক এক বছর আমফানের সময়ে রাজ্য বিজেপির সঙ্গে গভীর সমন্বয় রক্ষা করেছিল কেন্দ্র। ক্ষতির খতিয়ান চাওয়া হয় তাদের থেকেই। এবার সেই বালাই না থাকাটাই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।
advertisement
ঘটনাপ্রবাহ এখানেই শেষ নয়, আজকের বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীও আমন্ত্রিত। শুভেন্দু এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে বিরোধী দলনেতার আসনে বসেননি। নাম ঘোষণা হয়েছে মাত্র। এই অবস্থায় এই বৈঠকে যদি তিনি থাকেন তবে তা নতুন রাজনৈতিক জল্পনার জন্ম দেবে। দিলীপ নেই, শুভেন্দু আছেন, এটা কোন রাজনৈতিক ইঙ্গিত, উত্তর খুঁজছে পর্যালোচকরা। অবশ্য শুভেন্দু থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বৈঠকে কতটা উৎসাহী হন, তাই নিয়েও জল্পনার অবকাশ থাকছে।
প্রসঙ্গত, মোদি যদি ভোট থেকে শিক্ষা নিয়ে থাকেন, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় তাহলে কাজে লাগিয়েছেন আমফান অভিজ্ঞতা। ত্রাণ বন্টন নিয়ে অভিযোগে অভিযোগে জেরবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার দলকে কার্যত এই কাজ থেকে অব্যহতি দিয়েছেন, প্রশাসনকে ব্যবহার করার ব্লু প্রিন্ট সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। ডিরেক্ট ক্যাশ ট্রান্সফারের কথাও।
এখনও পর্যন্ত কেন্দ্র এই দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে রাজ্যকে ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। অন্ধ্র, ওড়িশা পেতে চলেছে ৬০০ কোটি টাকা। বরাদ্দ বৈষম্য নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সরব হয়েছেন। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আজ নরেন্দ্র মোদি বরাদ্দের পরিমাণ বাড়াতে পারেন।
