বুধবার বিকেলে ইউনেসকোর ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে। মানবতার ঐতিহ্য, এই শব্দবন্ধ লিখে হেরিটেজ ঘোষণা করে ইউনেসকো। প্রতিবছরই কলকাতার দুর্গাপুজোয় ভিড় করেন পৃথিবীর বিভিন্ন অংশের মানুষ। বিদেশ থেকেও পর্যটক আসেন। কলকাতার দুর্গাপুজোকে আন্তর্জাতিক স্তরের উৎসবের চেহারা দেওয়ার কথা অনেকদিন ধরেই বলে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো পুজোর শেষে আয়োজিত হয় আন্তর্জাতিক স্তরের পুজো কার্নিভাল, যেখানে বিদেশিদের উপস্থিতি থাকে চোখে পড়ার মতো। এ ছাড়া পুজোর কয়েকদিন তো ভিড়ে থইথই তিলোত্তমার রাস্তাই প্রমাণ করে, কতটা জনপ্রিয় এই রাজ্যের উৎসব।
advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ স্বীকৃতি, ইউনেসকোর ঘোষণায় তিলোত্তমার ঐতিহ্য
এর আগে কুম্ভমেলাকে বিশেষ সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যের মর্যাদা দিয়েছে ইউনেসকো৷ ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জেজুতে ইউনেসকোর দ্বাদশ অধিবেশনে ভারতের এই মেলাকে বিশেষ স্বীকৃতি দেওয়া হয়৷ ইউনেসকোর তরফে তখন বলা হয়েছিল, ভারতে বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য এক অনন্য নজির হয়ে রয়েছে কুম্ভ মেলা৷ এই মেলা ভারতীয় ঐতিহ্য, ভক্তি ও সংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক৷ কুম্ভ মেলার পর পূর্ব ভারতের অন্যতম বড় উৎসব দুর্গাপুজো ইউনেসকোর হেরিটেজ তালিকায় ঢুকে পড়ল৷ ইউনেসকো আনুষ্ঠানিক ভাবে এ ব্যাপারে ঘোষণা করবে ১৮ ডিসেম্বর৷
আরও পড়ুন: 'প্রত্যেক ভারতবাসীর অন্তত একবার কলকাতার দুর্গাপুজো দেখা উচিৎ': নরেন্দ্র মোদি
দুর্গাপুজোকে ইউনেসকোর হেরিটেজ তালিকায় রাখার দাবি অনেকদিনের৷ পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনেকবার কেন্দ্রের কাছে এ ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার অনুরোধ করে৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিভিন্ন সময়ে দুর্গাপুজোকে ইউনেসকোর হেরিটেজ তালিকায় রাখার কথা বলেন৷ অবশেষে দুর্গাপুজোর হেরিটেজ তকমা চেয়ে ইউনেসকোর কাছে আবেদন করে ভারত সরকার৷ বিশ্ব জুড়ে এমন বহু আবেদন ইউনেসকোরর কাছে জমা পড়ে৷
সেই আবেদনগুলি খতিয়ে দেখতে ১৩ ডিসেম্বর প্যারিসে বিশেষ অধিবেশনে বসেন ইউনেসকোর আধিকারিকরা৷ সেই সব আবেদন খতিয়ে দেখার পরই বাঙালির দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় ইউনেসকো৷ ১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফ্রান্সের প্যারিসে আয়োজিত হচ্ছে ইন্টারগভর্নমেন্ট কমিটির ১৬তম অধিবেশন।
সেই অধিবেশনেই ‘কলকাতার দুর্গাপুজো’-কে ইউনেসকোর ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটির তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে।