সূত্রের খবর, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতনের উপরে বিল আনবে রাজ্য। আগামী মাসের প্রথম দিকেই বিধানসভা অধিবেশন। সেই বিশেষ অধিবেশনেই পেশ করা হবে এই বিল। সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। মঙ্গলবারই সেই বিল রাজ্য বিধানসভায় পেশ হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
এদিনের সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘খুনি, অত্যাচারী, ধর্ষণকারীকে কেন ছাড়া হবে? আমি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলাম। সতর্ক করলাম। ন্যায় সংহিতা একটা আইন করলেন। আমাদের হাতে আইনের ক্ষমতা নেই। থাকলে সাত দিনে ফাঁসি করতাম। এই একটা কাজ করলেই সব ঠান্ডা হয়ে যাবে।’’
advertisement
আরও পড়ুন: পুজোর আগেই উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ! আদালতের নির্দেশ আসার পরেই আশার কথা শোনালেন শিক্ষমন্ত্রী
এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগামী সপ্তাহে বিধানসভা অধিবেশন ডাকা হচ্ছে। ফাঁসির সাজা চাই এই আইন করে, রাজ্যপালের কাছে পাঠাবে রাজ্য। রাজ্যপাল এবিষয়ে পদক্ষেপ না করলে তৃণমূলের মহিলা সমর্থকেরা রাজভবনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন মমতা।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে রাজ্যের এই নতুন বিল আনার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘সর্বোচ্চ শাস্তি আছে ভারতের, ধর্ষণের জন্য মৃত্যুদণ্ড। বিধানসভায় কোনও বিল পাশ হয় না যতদূর জানি। প্রেগনেন্ট ছিল, প্রেম ছিল এসব লেখা থাকবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা আইনে। ধর্ষণের শাস্তি অবশ্যই ফাঁসি। তাহলে প্রশ্ন কামদুনি কাণ্ডে কেন ফাঁসি দিতে পারেনি আপনার পুলিশ। বিনীত গোয়েল কেন পারেনি সেই প্রশ্নের উত্তর দিন।’’
ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনে শাস্তি বিষয়ক বিল আনার কথা বলার পাশাপাশি এদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বৈঠকে একাধিক মন্ত্রীর কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেচ, পঞ্চায়েত, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি, আইন দফতরের কাজ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন মমতা। বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের কাজ হ্যাম্পার হচ্ছে। এমন কিছু হলে আমি ছেড়ে কথা বলব না। আমার কাছে প্রত্যেক জেলার ফিল্ড রিপোর্ট আসছে। আমার কাছে জেলা থেকে ফিল্ড রিপোর্ট আসছে। সবাইকে ভালভাবে কাজ করতে করতে হবে।’’ সব মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।