কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগকে কার্যত সমর্থন করে অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায় বলেছিলেন, "আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, রাজ্যে বিশেষ করে সরকারি দলের বিধায়কদের যেভাবে 'টার্গেট' করা হচ্ছে তাতে আমরা আতঙ্কিত। তদন্তের নামে রাজ্যে একটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। এটা বাঞ্ছনীয় নয়।"
আরও পড়ুন: 'ঘুরে দেখুন ভিক্টোরিয়া, চিড়িয়াখানা...', BJP-র ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে তুমুল কটাক্ষ কুণালের!
advertisement
সম্প্রতি, রাজ্যের শিক্ষা দূর্নীতি কাণ্ডে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন। এর পর, গরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডে তৃণমূলের বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ফিরহাদ হাকিম, অরূপ রায়, মলয় ঘটক-সহ একাধিক মন্ত্রী ও বিধায়ক ইডি ও সিবিআই-এর নজরে। এই পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে পাল্টা ময়দানে নেমেছে তৃণমূলও।
রাজনৈতিক মহলের মতে, বিধানসভায় এই ইস্যুতে সরকারি ভাবে প্রস্তাব আনার কথা বলে এবার, সেই প্রতিবাদকে রাজনীতির ময়দান থেকে বিধানসভায় তুলে আনল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।" বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ''ইডির তদন্তে, ওদের খাট, আলমারির তলা থেকে বস্তা বস্তা টাকা বেরচ্ছে। তাই ওরা আতঙ্কিত হয়ে এসব করছেন।"
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মতে, "আসলে ওরা যে ভয় পেয়েছেন সেটা নিজের মুখেই বলে ফেলছেন ওদের নেতারা। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার বিরুদ্ধে কোন রাজ্য সরকার এ ধরনের প্রস্তাব আনতে পারে না।বিধানসভায় এ ধরনের প্রস্তাব এলে বিজেপি তার বিরোধিতা করবে৷" বিজেপি-র মতে, এর আগেও কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যপাল, বিএসএফ-এর এক্তিয়ার বৃদ্ধি-সহ একাধিক ইস্যুতে বিধানসভায় কেন্দ্র বিরোধী প্রস্তাব এনেছে তৃণমূল। সংখ্যাধিক্যের জোরে এবারেও এই প্রস্তাব ধনি ভোটে পাশ হলেও, সরকারের মন্ত্রী ও শাসক দলের নেতাদের দূর্নীতি তদন্তে কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরোধিতা করে আনা এই প্রস্তাব জনতার আদালতে গ্রহণযোগ্য হবে না।