এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”এটা সংবেদনশীল বিষয়। পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন নিয়ে যোগ করার কথা বলব। পশ্চিমবঙ্গ এক থাকবে। আমরা ভাঙতে দেব না। এটা হাউজের স্বার্থে করা হোক।” এরপরই মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় চলে যান বিরোধী দলনেতার কাছে। এরপরই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন মমতা। বলেন, ”বিরোধিতা করব বলে কাঁদা ছোড়াছুড়ি করব কেন। আমি দেশ ও রাজ্য দুটোই ভালোবাসি। শোভনদেবদা-কে বলব, শুভেন্দু যা বলেছেন, সেটা যুক্ত করুন।”
advertisement
আরও পড়ুন: বিধানসভায় বেনজির দৃশ্য! মমতার সঙ্গে ‘আলাদা’ করে কথা নওশাদের! জল্পনা তুঙ্গে
অনন্ত মহারাজের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গ তুলেও মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি শুভেন্দুর উদ্দেশ্যে বলেন, ”আমি একজনের বাড়িতে গিয়েছি বলে আপনাদের আপত্তির কী আছে! আপনিও ডাকুন না! ডাকলে আপনার বাড়িতেও যাব। অসুবিধা কী!” মমতার সংযোজন, ”আমরা নর্থ ইস্টার্ন কাউন্সিলে যাব কেন ? ওটা তো শুধু উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর জন্য। আমরা শুধু দার্জিলিং-এর সাবসিডির কথা বলেছিলাম। উত্তরবঙ্গের অনেক অবদান আছে বাংলাকে এক রাখার জন্য। বাংলার ঐক্য, সম্প্রীতি বাংলার সম্পদ।”
মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে এদিন উঠে আসে নীতি আয়োগের বৈঠকের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, ”এই সুযোগে আমি একটা কথা বলতে চাই। কিছুদিন আগে আমি নীতি আয়োগের বৈঠকে গিয়েছিলাম। বিরোধী দলগুলোর মধ্যে আমি আমি একা ছিলাম। আমি সেখানে কন্সট্রাকটিভ কথা বলেছি।
আমি আজও বলছি, আমি কাউকে বঞ্চিত করিনি। পরিকাঠামো উন্নয়নে বাংলা অনেক এগিয়ে আছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাসের টাকা যা আটকে আছে, সেটাও বাংলা পাক। আমরা মনে করি বিভেদ নয়, বিচ্ছেদ নয়। সবাই এক থাকুক। আমরা একতার পক্ষে।”