গানের সিডি রবিবার থেকেই নজরুল মঞ্চে পাওয়া যাবে। পরে তৃণমূল ভবন থেকেও তা মিলবে। এদিন অ্যালবামের উদ্বোধন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”গানগুলো সবাই মিলে করেছি। রাজ খুব ভালভাবে সব আয়োজন করেছে। গানগুলো আপনারা পুজোর সময় ক্লাবে ক্লাবে বাজাতে চাইলে, বাজাতে পারেন।”
advertisement
একইসঙ্গে তাঁর গান নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষের জবাব দিয়ে মমতা বলেন, "আমি যাই করি তাই আলোচনার কেন্দ্র হয়ে যায়। কাঁচা বাদাম-পাকা বাদামে কত নেচেছেন। যারা কথা বলছেন তাদের জন্য তোলা রইল আমার গানটা, 'টাক ডুমাডুম ডুম'। আমি নিজে কোনও মতামত দিতে চাই না। আমি মতামত দিলেই চর্চা শুরু হয়ে যাচ্ছে।"
প্রসঙ্গত, শুধু প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডেই সীমাবদ্ধ নন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি আঁকা, লেখা, কবিতার মতো নানা বিষয়ে নিজেকে বার বার প্রকাশ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা। এবার উৎসবের মরশুমে তাঁর সেই প্রতিভার বিকাশ প্রকাশ্যে এল আরও একবার। এবারের পুজোতে শোনা যাবে তাঁরই লেখা ও সুর করা গানের ডালি।
এদিন মমতা বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, "বাংলায় হেরে বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে মেতে উঠেছে। এজেন্সিকে বারবার ব্যবহার করছে। মামলায় ফাঁসিয়ে ঢুকিয়ে দেবে ভেবেছে। কুৎসা করে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে। আমরা মাথা নীচু করব না। বাংলায় বিভাজনের রাজনীতি করছে বিজেপি, সঙ্গে বাম ও কংগ্রেস। দুর্গা পুজো নিয়েও আমাদের বিরুদ্ধে কাদা ছড়াচ্ছে।
অন্যদিকে এদিন জাগো বাংলার মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "গণতন্ত্রের পীঠস্থান সংসদকে মোদি-শাহ প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থায় পরিণত করেছে। বিরোধীদের কন্ঠরোধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রশ্ন করলেই দেশদ্রোহী তকমা দিচ্ছে। জোর করে সিএএ, এনআরসি প্রয়োগের চেষ্টা চলছে। ইডি, সিবিআইয়ের জুজু দেখিয়ে বিরোধীদের বাগে আনতে চাইছে। আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।"