মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘প্যারা টিচারদের জানা উচিত ১ বছর আগে চার হাজার থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করেছি। প্রতি বছর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়াতে বললে তো টাকার গাছ লাগাতে হবে। তার থেকে রাজনীতি ছেড়ে বলুন না কেন্দ্রকে, আমাদের একানে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক করে দিতে। আমি তো দেওয়ার বিপক্ষে নই। যা আছে সবই তো দিয়ে দিয়ে দিই৷ ’’
advertisement
এই ফুটেজ ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সোশাল মিডিয়াও পার্শ্বশিক্ষকদের এই আন্দোলন নিয়ে তোলপাড়। কতটা যুক্তিসঙ্গত শিক্ষকদের এই দাবি?
সম কাজে সম বেতন
এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পার্শ্বশিক্ষকদের সহকারী শিক্ষকের মর্যাদা
এই দাবিতে, গত শুক্রবার সল্টলেকে বিক্ষোভ দেখাতে যান পার্শ্বশিক্ষকরা। অভিযোগ, সেখানে পুলিশ তাঁদের হেনস্থা করে। এরপর, শনিবার, কল্যাণীতে স্টেশন সংলগ্ন বাস টার্মিনাসে তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ করেন। সেখানেই লাঠি চালায় পুলিশ।রবিবার আন্দোলনকারী পার্শ্বশিক্ষকদের পাশে দাঁড়ায় বিজেপি ও সিপিএম।এই প্রেক্ষাপটে, সোমবার, হাওড়ার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে, আন্দোলনকারী পার্শ্বশিক্ষকদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যে বিজেপি ও সিপিএম, পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলনকে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে হাতিয়ার করতে চাইছে, তাদেরও এ দিন পালটা নিশানা করেন মমতা।এ দিনই, হাওড়ার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে, কলেজের পার্ট টাইম, হোলটাইম কনট্র্যাকচুয়াল এবং গেস্ট লেকচারারদের নতুন মর্যাদার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ইউজিসির নির্দেশিকা মতো যাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে, তাঁরা থাকবেন স্টেট এইডেড কলেজ টিচার গ্রেড ওয়ানে। বাকিরা গ্রেড টু তে।
আরও দেখুন