এদিন অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তৃতা করতে শুরু করলেই বিজেপি বেঞ্চ থেকে তুমুল বিক্ষোভ-বিরোধিতা আসতে শুরু করে৷ তখনই মুখ্যমন্ত্রী বলে ওঠেন, ‘‘বিরোধী দল আপনারা আগে বলে নিন। কিন্তু বলার পরে পালালে হবে না। আমার কথা শুনতে হবে৷’’ প্রসঙ্গত, গতকালও অধিবেশনের মাঝে ওয়াকআউট করেছিলেন বিজেপি বিধায়কেরা৷ কাগজ ছিঁড়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল অধিবেশন কক্ষে৷ এদিন সেই প্রসঙ্গও উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর গলায়৷
advertisement
আরও পড়ুন: তপ্ত অধিবেশন! ছেঁড়া হল কাগজ, উড়ল বিধানসভায়, চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়লেন ক্ষুব্ধ স্পিকার
মমতা বলেন, ‘‘ছিঁড়ুন ছিঁড়ুন ভালো করে ছিঁড়ুন৷ এটা প্রথম থেকে প্ল্যান করে কাঁচি নিয়ে ছিঁড়ে এনেছিল৷’’ বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ফের তাঁর বক্তব্যে বিরোধী থাকাকালীন তৃণমূলের বিধানসভা ভাঙচুরের প্রসঙ্গ তোলেন৷ এমনকি, গোটা ঘটনার পিছনে অভিযোগের আঙুল তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেও৷ সঙ্গে সঙ্গেই অবশ্য বিজেপি বিধায়ককে তাঁর ‘ভাষা সংযত’ করার আবেদন জানান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷
তবে বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষের অভিযোগের উত্তরও দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ জোর গলায় বলেন, ‘‘আবার জানাই আমি কোনও চেয়ার ভাঙিনি। প্রমাণ করতে পারলে পদত্যাগ করে চলে যাব৷ আমি বিরোধী দলে আছি মানে হাউজ ভাঙচুর, সরকারি কাগজ ছেঁড়া এটা কাজ নয়৷ ’’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিধানসভায় একটি বিষয় নিয়ে মুলতবি প্রস্তাব এনেছিলেন বিজেপি বিধায়কেরা৷ সেই প্রস্তাব গৃহীত না হওয়ায় তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন৷ হাতে থাকা কাগজ ছিঁড়ে ছড়িয়ে দেন তাঁরা৷ এরপরেই ক্ষুব্ধ স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়ার ছেড়ে উঠে বলেন, ‘‘এই ভাবে প্রতিদিন ডিস্টার্ব করা যায় না। আপনারা আসনে বসুন। অধিবেশন চলছে।’’
বুধবার বিধানসভায় প্রতিবাদের প্রতীক হিসাবে কালো পোশাক পরে এসেছিলেন প্রত্যেক বিজেপি বিধায়ক৷ সেই প্রসঙ্গও উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে, ‘‘যাঁরা কালো জামা পড়ে এসেছেন তাঁদের ধন্যবাদ৷ কালো জামা পরলেই কালো হয় না। অমাবস্যা আছে বলেই পূর্ণিমা আছে। রাত আছে বলেই ভোর আছে। পাগড়ি পরে এসে কাক ময়ূর হতে চাইছে। ময়ূরপুচ্ছ লাগান। পাগড়ি লাগানো মানেই ময়ূর হয়ে যাবে না৷ এক মণিপুর সামলাতে পারছেন না। আপনারা চালাবেন বাংলা?’’