এই রায়ের পরই নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘আমি আরও একটা অবসারভেশন বলছি, ১৫ নম্বর প্যারা, কেন বললাম এই গুলো? আমরা সুপ্রিম কোর্টের বিচার গ্রহণ করছি। আমরা তিন মাসের মধ্যে করে দেব। শিক্ষামন্ত্রীকে বলেছি তিনমাসের মধ্যে প্রসেস করে আমাদের ফিলিংটা জানাতে।’
আরও পড়ুন: কে দেখবে মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা? ক্লাস করাবে কে? ২৫৩০০ চাকরি বাতিলে উঠছে প্রশ্ন
advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘মানবিক ভাবে পাশে দাঁড়াতে এসেছি। কারোর হৃদয়ে ব্যথা হয়। ২৫ হাজার মানে ২৫ হাজার ধরবেন না, কয়েক লক্ষ পরিবার জড়িত আছে। এখানে কেসটাকে করেছিলেন বিকাশবাবু। ওনার তো নোবেল পাওয়া উচিত। ভাবছি একটা রেকমেন্ডেশন করব। সুকান্তবাবু বলছেন এর জন্য নাকি আমরা দায়ী। আপনারা বললেন যোগ্য অযোগ্য কেন ভাগ করা হল না? সরকারকে কী সময় দিলেন? আমরা তো এই কেসটার জন্য চাকরি দিতে পারছি না। ১ লক্ষ চাকরি দিতে পারছি না। নতুন করে আবেদন নেওয়া হবে। সেটা এসএসসি দেখবে।’
আরও পড়ুন: সুপ্রিম-নির্দেশে চাকরি গেল ২৫ হাজার ৭৫২ জনের, ব্যতিক্রম শুধু এক জন সোমা দাস! কেন?
এদিন সুপ্রিম কোর্টের রায়ে, নতুন করে এই বাতিল পদে চাকরির ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার জন্য তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছে। নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়ার শুরুর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ওরা বলেছে তিন মাসের মধ্যে প্রসেস করতে, আমরা তা করে দেব। শিক্ষামন্ত্রীকে ইতিমধ্যে বলেছি, এসএসসিকে আমাদের ভাবনা জানাতে। এসএসসি স্বশাসিত সংস্থা। ওরা যেমন ভাল বুঝবে, নিজেদের মতো করে করবে। তবে আমরা চাই এটা তাড়াতাড়ি হয়ে যাক।’
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়
