মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘ফাঁসি দিল না কেন? ফাঁসি দিলে খুশি হতাম। নরপিশাচদের কঠোর সাজা হওয়া উচিত। আমরা প্রথম দিন থেকেই ফাঁসির দাবি করে এসেছিলাম। আজকেও সেই দাবিতে অনড় আছি। আপনারা জানেন আমাদের তিনটে কেসে ফাঁসি হয়েছে। এই কেস অত্যন্ত সিরিয়াস। এটা নিয়ে আমাদের ফাঁসির দাবি ছিল।’
আরও পড়ুন: ‘সুবিচার’ মিলল না, রায় শুনেই কেঁদে ফেললেন নির্যাতিতার বাবা-মা! ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণেও ‘না’
advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘বিচারের রায় নিয়ে আমি কিছু বলব না। আমাদের হাতে থাকলে অনেক দিন আগেই ফাঁসির অর্ডার করিয়ে দিতাম। আমি জানি না কীভাবে লড়াই করেছেন আইনজীবীরা। সিবিআই কেস করেছে। আমাদের হাত থেকে কেস নিয়ে গেল। আমরা বিচার চেয়েছিলাম। এই নরপিশাচদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত ছিল। ফাঁসি হলে আমি অন্তত মনকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম।’
আরও পড়ুন: ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম নয়’, আদালতে এখনও সওয়াল সঞ্জয়ের মহিলা আইনজীবীর! ফাঁসি চায় সিবিআই
ফাঁসি নয়, আরজি করের ধর্ষণ-খুনে আমৃত্যু কারাবাসের নির্দেশ দিল শিয়ালদহ আদালত! বিচারক অনির্বাণ দাসের পর্যবেক্ষণ, ‘এই ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা নয়’। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪, ৬৬ এবং ১০৩ (১) এই তিনটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। সিবিআই মৃত্যুদণ্ডের জন্য সওয়াল করলেও শেষমেশ আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক অনির্বাণ দাস। সঙ্গে জরিমানা করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। জরিমানার অর্থ দিতে না পারলে আরও চার মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় শিয়ালদহ আদালত।
ফাঁসির পক্ষে সওয়াল করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘রাজ্য পুলিশ তিনটি ঘটনায় ক্যাপিটাল পানিসমেন্ট করে দেখিয়েছে। করদাতাদের টাকায় জেলে রাখার অর্থ হয় না। সঞ্জয় রাইয়ের মতো ক্রিমিনালদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তিই প্রয়োজন ছিল।’
আবীর ঘোষাল