গত ১০ অগস্ট ঘাটালে পৌঁছেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন মমতা। এদিনও ফের একবার এই মাস্টার প্ল্যানের অনুমোদন কেন্দ্র দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। মমতার কথায়, 'ঘাটাল, দাসপুর, উলুবেড়িয়া সাব ডিভিশন, বাঁকুড়ার বেশ কিছু জায়গায় বন্যা হয়েছে। মন্ত্রীদের দল সামনের সপ্তাহে কেন্দ্রীয় সেচমন্ত্রী ও নীতি আয়োগের কাছে যাবে। আমাদের চারটে দাবি। দীর্ঘ ৪০-৫০ বছর ধরে লড়াই চলছে, আজও করে দিল না। ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান না হলে, প্রতি বছর এভাবেই বন্যা হবে। কেন্দ্রের কাছে ফের দাবি জানানো হবে।'
advertisement
এদিন ঘাটালের পাশাপাশি, দিঘা ও সুন্দরবনেও মাস্টার প্ল্যান করার দাবি তুলেছেন মমতা। এগুলো উপকূলবর্তী এলাকা। দিঘা ও সুন্দরবনেও মাস্টার প্ল্যান হলে সেখানকার মানুষ অনেকটা নিস্তার পাবেন বলে মনে করেন তিনি। পাশাপাশি, ডিভিসির সংস্কার করারও দাবি তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, 'তনুঘাট, পাঞ্চেত, মাইথনে ড্রেজিং করা হয় না। সেখানে ২ লক্ষ কিউসেক জল আরও বেশি ধরতে পারে। যে জলটা ছাড়ার ফলে এখানে বন্যা হয়। ডিভিসির জল ছাড়া বন্ধ হোক। কেন্দ্র এ বিষয়ে পদক্ষেপ করুক।'
মমতা বলেছেন, বন্যায় ডুবে থাকা এলাকায় কৃষি দফতর থেকে সমীক্ষা চালানো হচ্ছে। তাঁর দাবি, 'মুর্শিদাবাদ ও মালদার গঙ্গাভাঙন নিয়েও কথা বলা হবে। ডিভিসির জলে হুগলি, হাওড়ার একাংশে বন্যা পরিস্থিতি হয়েছে। ৩ হাজার কোটির একটি প্রকল্প নিয়েছে রাজ্য সরকার। ডিভিসির জল ছাড়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার নীতি নির্ধারণ করুক। ফরাক্কা জলাধারেরও ড্রেজিং করতে হবে, এখনও টাকা মেলেনি। ৬টি বিষয় নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলবে রাজ্যের প্রতিনিধি দল। ফরাক্কার জন্য কেন্দ্রের কাছে টাকা এখনও বকেয়া।'