এক বার্তায় দলের জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় আসছে। প্রত্যেক জনপ্রতিনিধিকে নিজের-নিজের এলাকার মানুষের পাশে থাকতে হবে। উপকূলবর্তী অঞ্চলে থেকে মানুষকে সরিয়ে এনে খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। যতক্ষণ না দুর্যোগ কাটছে, নিজের বিধানসভা অঞ্চলে সর্বক্ষণ নজর রাখতে হবে। দুর্যোগ কেটে যাওয়ার পর ঘরবাড়ি তৈরি থেকে শুরু করে যাবতীয় প্রয়োজনে মানুষের পাশে থাকতে হবে।
advertisement
বস্তুত, আমফানের সময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে তুলেতে প্রশাসনের অনেকটা সময় নেওয়া নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠেছিল, তেমনি আমফানের ত্রাণে দুর্নীতিতেও অভিযুক্ত হয়েছিলেন তৃণমূলের বহু নেতা। এবারের বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপির প্রচারের অনেকটা জুড়ে ছিল তৃণমূলের সেই ত্রাণ দুর্নীতি। কিন্তু ভোটের ফলে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল। তাই এবার আর দুর্নীতিতে যাতে দলের নাম না জড়ায়, তা নিশ্চিত করতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী।
অপরদিকে, ঘূর্ণিঝড় যশ মোকাবিলায় রাজ্যগুলি কতটা তৈরি রয়েছে, সেই বিষয়ে আলোচনার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৈঠকে বসেছেন তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। বৈঠকে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক ও অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি। এ ছাড়া আন্দামান ও নিকোবরের উপ-রাজ্যপালও বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন।