শুধু স্কাইওয়াকের উদ্বোধন নয়, এ দিন মন্দিরে পুজো দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েই এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ গর্ভগৃহে ঢুকে পনেরো মিনিটেরও বেশি সময় ধরে পুজো দিলেন তিনি৷ শাড়ি, মালা নিবেদন, মন্ত্রোচ্চারণ করে অঞ্জলি দেওয়ার পাশাপাশি নিজের হাতে মায়ের আরতিও করলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই মন্দিরের ভিতরে দেখা গেল দেব, সোহম, অদিতি মুন্সি, জুন মালিয়াদের মতো তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক এবং সাংসদকে৷ কালীঘাটে স্কাইওয়াক উদ্বোধনের তৃপ্তিও পুজো দেওয়ার সময় ধরা পড়েছে মুখ্যমন্ত্রীর চোখে মুখে৷
advertisement
স্কাইওয়াক উদ্বোধনের পর দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দেওয়া এখন অনেক সহজ হয়েছে পুণ্যার্থীদের কাছে৷ পার্কিং থেকে শুরু করে হকারদের স্টল, সবই সেখানে সংগঠিত করা সম্ভব হয়েছে৷ এবার কালীঘাটেও সেই একই সুবিধে পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী৷ ঘিঞ্জি গলির ভিতর দিয়ে ভিড়ে ধাক্কাধাক্কির বদলে এসক্যালেটর বা লিফটে চড়ে স্কাইওয়াকে উঠে প্রশস্ত পথ ধরে হেঁটে মন্দিরের গর্ভগৃহের কাছে পৌঁছে যেতে পারবেন পুণ্যার্থীরা৷ রাস্তা থেকে পুণ্যার্থীদের ভিড় কমে যাওয়ায় পয়লা বৈশাখের মতো বিশেষ দিনগুলিতে মন্দির চত্বরে যানজটও কমবে৷ রোদ, বৃষ্টি থেকে মাথা বাঁচিয়েই পুজো দিতে যেতে পারবেন পুণ্যার্থীরা৷
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, সুযোগ থাকলে তারাপীঠ মন্দিরেও কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বরের মতো স্কাইওয়াক তৈরি করে দিতেন তিনি৷ কিন্তু তারাপীঠ মন্দিরের ভিতরের অপ্রশস্ত জায়গায় তা করা সম্ভব নয় বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী৷
স্কাইওয়াক উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গেই নতুন আলোর মালায় সাজানো হয়েছে কালীঘাট মন্দির চত্বরকে৷ মন্দির চত্বরও এখনও অনেক পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন৷ সবমিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর স্পর্শে নতুন বছরে নতুন রূপে কালীঘাট মন্দির৷