নাম করে একাধিক বিধায়ক ও দলীয় নেতাদের রীতিমতো শাসন করলেন তিনি। বিধায়ক-মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে সাফ বলে দিলেন, ”ক্ষমা বার বার করা যাবে না। ক্ষমা অনেকেই চাইছেন। কিন্তু বারবার ক্ষমা করা যায় না। মদন ক্ষমা চেয়েছে, উদয়ন বারবার নানা কথা বলছে। ইটাহারেরর মাটিতে কর্মীদের সঙ্গে জনসংযোগ সারে ছেলেটা। মোশারফকে দেখে আপনারাও এগুলো করতে পারেন। কীভাবে একসাথে চলতে হয়। সেই উদাহরণ দেখুন।”
advertisement
বারাবনীর বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়কে সাবধান করে তৃণমূল নেত্রী সাফ বলে দেন, “তোমাদের ব্যাপারে যা রটছে, তাতে কান পাতা দায়।” মালদার সাবিত্রী ও রহিম বক্সীকে গন্ডগোল মেটানোর নির্দেশ দেন তিনি।
এদিনের বৈঠকে দলের রাশ যে তাঁর হাতেই রয়েছে, ফের বোঝালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাবতীয় শাখা সংগঠন ও শাখা কমিটি, ব্লক কমিটি নতুন করে গঠনের বার্তাও দিলেন তিনি। বিধায়কদের সবাই তিনটে করে নামের তালিকা আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জমা দিতে হবে অরূপ বিশ্বাসের কাছে। এমনই নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিষয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। বলেন, ”জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে অন্যায় ভাবে আটকে রাখা হয়েছিল। আদালতে ওর বিরুদ্ধে কোনও তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি। রাজনৈতিক কারণে অহেতুক আটকে রাখা হয়েছিল।”