রবিবার কলকাতায় অমিত শাহের সভা। পরের দিনই নেতাজি ইন্ডোরে মমতার সমাবেশ।
এই সভায় তৃণমূলের কাউন্সিলর থেকে সাংসদরা উপস্থিত থাকবেন। সোমবারই দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে আলাদা বৈঠকও করবে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
তবে রাজনৈতিক মহলের নজর নেতাজি ইন্ডোরে মমতার সভার দিকে। কারণ, এই সভাতেই আস্তিন থেকে নতুন অস্ত্র বের করবে রাজ্যের শাসক দল। দিদিকে বলো কর্মসূচিতে মূলত সরকারি পরিষেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভের কথা শোনা হয়। জোর দেওয়া হয় জনসংযোগে। কিন্তু, নতুন কর্মসূচি একেবারেই রাজনৈতিক।
advertisement
তৃণমূলের দাবি, নতুন এই কর্মসূচিকে সামনে রেখে, মমতার নেতৃত্বে ময়দানে ঝাঁপাবেন দলের এক লক্ষ নেতা-কর্মী। ৭৫ দিনে যাবেন ৭ হাজার গ্রামে, ১০ ধাপে এগোবে কর্মসূচি।
বাংলার ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটারদের বোঝানো হবে বাংলার উন্নয়নের জন্য কেন মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী করা জরুরি।
এও বোঝানো হবে, বাংলায় বিজেপিকে রুখতেও কেন মমতা জারুরি।
সোমবারের মমতার সভার জন্য যে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়, তাতে রয়েছে বার কোড। সেই কোড মিলিয়েই নেতাজি ইন্ডোরে ঢুকবেন তৃণমূলের নেতারা। ২০২১কে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। তাদের টার্গেট বাংলায় পরিবর্তন। পালটা নতুন কর্মসূচিকে সামনে রেখে কোমর বেঁধে ময়দানে নামছে তৃণমূলও। সূত্রের খবর, এর পিছনে রয়েছে ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোরের মাথা।