২০১৯ সালে দিঘায় পুরীর মন্দিরের আদলে জগন্নাথ মন্দির তৈরির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কোভিড পর্ব কাটিয়ে ২০২২ সালের মে মাসে মন্দির তৈরির কাজ শুরু করে হিডকো। প্রায় ২২ একর জমির উপর তৈরি হয়েছে মন্দিরটি। গত বছরই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, চলতি বছর থেকে রথযাত্রা শুরু হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দির থেকে।
দিঘা স্টেশনের একেবারে কাছেই ভগিব্রহ্মপুর মৌজায় ২৫ একর জমির উপর চলছে বিরাট কর্মযজ্ঞ। তবুও পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের থেকে কিছুটা আলাদা দিঘার জগন্নাথ মন্দির। দিঘায় প্রায় শেষের পথে শ্রীক্ষেত্রের আদলে মন্দির নির্মাণ। তীর্থ ভ্রমণের ক্ষেত্রে নয়া দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্যে সমুদ্র শহর দিঘায় নির্মিত হচ্ছে আরেক কলিঙ্গ স্থাপত্য। শ্রীক্ষেত্রের আদলে ২১৩ ফুট উচ্চতার জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা ২০১৯ সালে। নির্মাণকারী সংস্থা হিডকোর তৈরি নকশা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ২০২২- এর ৩ মে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ২০০ কোটির ঘোষিত প্রকল্প।পুরানো ও নতুন দিঘার একেবারে মাঝামাঝি রেল স্টেশন লাগোয়া ভগীব্রহ্মপুর মৌজায় ২৫ একর জায়গার ওপর জগন্নাধ ধাম ও সংস্কৃতি কেন্দ্র গড়ে তোলার সেই কাজ এখন প্রায় শেষের পথে। মন্দিরের চূড়া পর্যায়ের কাজ চলছে চূড়ান্ত গতিতে।
advertisement
দিঘা জগন্নাথ ধামকে ঘিরে সেজে উঠছে আশপাশের এলাকা। সামনের জলাভূমিকে (নয়ানজুলি) সংস্কার করে পাড় বাঁধিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ঝাউ, কাজুর সবুজ সমারোহ। তার মধ্যে বসার আসন পাতা হচ্ছে। আলো, জল, শৌচালয়, পাথরবাঁধানো রাস্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মন্দির এলাকার মধ্যে শহরের মূল সড়ক প্রশস্ত হচ্ছে। দিঘা থানা চত্বর থেকে নতুন দিঘা পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশের গাছ বাঁচিয়েই রাস্তা চওড়া করা হচ্ছে। দিঘা থানা এবং দিঘা সামুদ্রিক জীব গবেষণা কেন্দ্রের মধ্যভাগে অবস্থান দিঘার আদি জগন্নাথ মন্দিরের। শুরুতে সেখানেই জগন্নাধ ধাম গড়ার পরিকল্পনা হয়েছিল। পরবর্তীতে উপযুক্ত এলাকা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল ভগীব্রহ্মপুরের বালিয়াড়ি। তাহলেও পুরানো মন্দিরের অমর্যাদা হচ্ছে না একটুও। সেখানকার যাবতীয় পরিকাঠামগত উন্নয়নে জোর দেওয়া হচ্ছে। রথের সময় এই মন্দিরই হবে সহোদর ভাই-বোন-সহ জগন্নাথদেবের মাসিরবাড়ি।