যদিও মুখ্য়মন্ত্রীর এই দাবিকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। তাদের পাল্টা প্রশ্ন, ধ্বংসাত্মক রাজনীতি না করলে বিধানসভায় ভাঙচুর কারা করেছিল?
এ দিন নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের নতুন কর্মসূচি দিদির সুরক্ষাকবচের উদ্বোধন এবং দলের কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য় রাখতে গিয়েই বিরোধীদের ভূমিকা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন মুখ্য়মন্ত্রী। বিরোধী নেত্রী হিসেবে দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের দিকে তাকিয়েই 'দিদির সুরক্ষাকবচ'? বিজেপিকে খোঁচা দিয়েই জবাব মমতার
সেকথা মনে করিয়ে দিয়ে কিছুটা হতাশার সুরেই মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, 'মা মাটি মানুষের সরকার ১১ বছর হল। তৃণমূল কংগ্রেস ২৫ বছর পার করেছে। অনেক কর্মী, সমর্থককে হারিয়েছি। সংগ্রাম করতে গিয়ে জীবন কেটে গিয়েছে। সিঙ্গুর- নন্দীগ্রাম অনেক পরে। ৯২ সালে ফিরে যান, ৯৩ সালের একুশে জুলাই গুলি চলেছিল। হাওড়া, বেহালা, কোচবিহার, রাজারহাট, শান্তিপুরে গুলি চলল। সেসব দিন অনেক কষ্টে পার করেছি। ধ্বংসাত্মক কিছু করিনি, গঠনমূলক কাজ করেছি। বিরোধীদের কঠিন পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। বিরোধীরা এখানে এক একটা বিষয়ে যে কুকথা বলে, গোটা দেশে কোথাও হয় না।'
যদিও মুখ্য়মন্ত্রীর এই বক্তব্য়কে পাল্টা আক্রমণ করেছেন বিরোধী নেতারা। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য় সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'মুখ্য়মন্ত্রী ঠিক বলেছেন। ভারতবর্ষের কোথাও এত দুর্নীতি হয় না। মুখ্য়মন্ত্রী যখন বলেন বিরোধীদের জিভ টেনে ছিঁড়ে ফেলব, তার থেকে বড় কুকথা আর কী হতে পারে?'
আরও পড়ুন: 'প্রধানমন্ত্রীর মা মারা গেছেন, এ নিয়ে মন্তব্য করব না', হঠাৎ কেন বললেন মমতা?
বিরোধী আসনে থাকাকালীন তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিধানসভায় ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে সিপিএম নেতা আরও বলেন, 'বিধানসভা ভবন ভাঙচুরের কথা ভুলে যাচ্ছেন? যিনি সেই ভাঙচুরে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, ওটা কি অশরীরীর ছবি? দেখে তো মুখ্য়মন্ত্রীর মতোই লাগে! ওটা কি অন্য় কেউ? মুখ্য়মন্ত্রী যদি এমন কিছু বলেন যা একশো শতাংশ মিথ্য়ে, হাস্য়কর, তাহলে তা রাজ্য়ের সম্পর্কে ধারণা আরও খারাপ করে দেয়।'
একই ভাবে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'তৃণমূল যে দুর্নীতি করেছে, তাতে তিনটি প্রজন্মের ভবিষ্য়ৎ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এর পর তৃণমূল পঞ্চায়েত ভোটের আগে নতুন যে প্রকল্পই নিয়ে আসুক না কেন, মানুষ আর তা গ্রহণ করবে না।'